গর্তে শিশুর লাশ, সৎমা আটক
ময়মনসিংহের ভালুকায় ময়লা পানির গর্ত থেকে মাহথির আহম্মেদ মারুফ নামে ৬ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি শুকিয়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুর গলায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সৎমা লাভলী আক্তারকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির পিতা মাহমুদুল হাসান দুই বছর পূর্বে তার মা লুৎফুন নাহারকে ডিভোর্স দেন। মাহমুদুল হাসান পরে লাভলী নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মারুফ তার সৎমা লাভলী আক্তারের কাছেই থাকত। ঘটনার দিন সকালে মারুফকে তার দাদি হালিমার কাছে রেখে লাভলী তার শিশু বাচ্চাকে টিকা দেওয়ার জন্য টিকা কেন্দ্রে যান। বেলা ১১টা থেকে মারুফ নিখোঁজ হয়। সারাদিন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সোমবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির পাশের গর্ত পাওয়ার পাম্প দিয়ে শুকিয়ে মারুফের মরদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।
ভালুকা থানার এসআই আব্দুস ছালাম বলেন, আমি সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার সময় দেখেছি শিশুটির শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তবে গলায় কালো চিহ্ন দেখা গেছে। এ কালো দাগটি এমন নয় যে- তাকে রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার সৎমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে শিশু মারুফের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের গলা ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ায় সৎমাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
গর্তে শিশুর লাশ, সৎমা আটক
ময়মনসিংহের ভালুকায় ময়লা পানির গর্ত থেকে মাহথির আহম্মেদ মারুফ নামে ৬ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি শুকিয়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুর গলায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সৎমা লাভলী আক্তারকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির পিতা মাহমুদুল হাসান দুই বছর পূর্বে তার মা লুৎফুন নাহারকে ডিভোর্স দেন। মাহমুদুল হাসান পরে লাভলী নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মারুফ তার সৎমা লাভলী আক্তারের কাছেই থাকত। ঘটনার দিন সকালে মারুফকে তার দাদি হালিমার কাছে রেখে লাভলী তার শিশু বাচ্চাকে টিকা দেওয়ার জন্য টিকা কেন্দ্রে যান। বেলা ১১টা থেকে মারুফ নিখোঁজ হয়। সারাদিন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সোমবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির পাশের গর্ত পাওয়ার পাম্প দিয়ে শুকিয়ে মারুফের মরদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।
ভালুকা থানার এসআই আব্দুস ছালাম বলেন, আমি সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার সময় দেখেছি শিশুটির শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তবে গলায় কালো চিহ্ন দেখা গেছে। এ কালো দাগটি এমন নয় যে- তাকে রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার সৎমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে শিশু মারুফের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের গলা ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ায় সৎমাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।