কাবিনের দিনই হবু স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা!
রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:৪৩:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
বিয়ের কাবিনের দিন ধার্য ছিল বুধবার। সেভাবেই প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। কনের বাড়ির লোকজন কাজি অফিসে যান। কনে একা বাড়িতে ছিলেন। এই ফাঁকে বাড়িতে এসে হবু স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে হবু স্বামীর বিরুদ্ধে।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের মধ্যম শিয়াপাড়া এলাকা থেকে ডালিয়া আক্তার নামের এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় তার মৃতদেহ বসতবাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
নিহত ডালিয়া আক্তার একই এলাকার মৃত ইসমাইলের মেয়ে। তিনি আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহত ডালিয়ার ছোট ভাই মামুন অর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, একই ইউনিয়নের উত্তর মাইজপাড়া এলাকার ওয়াহেদুল হকের ছেলে আবদুল্লাহ আল আওয়াদের সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার বোনের কাবিনের দিন ধার্য ছিল। এ লক্ষ্যে বাড়ির সবাই কাজি অফিসে চলে যান। এ সময়ে হবু স্বামী আবদুল্লাহ আল আওয়াদ বাড়িতে এসে বোনকে গলাটিপে হত্যা করে।
মামুন আরও বলেন, কাজি অফিসে কনের পক্ষে লোকজন অপেক্ষমাণ ছিলেন কিন্তু বরের পক্ষের কেউ আসেননি। ওই সময়ে কাজির নির্দেশে তিনি বাড়িতে কনের আইডি কার্ডের জন্য গেলে হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য দেখতে পান বলেও জানান। এ সময় অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল আওয়াদ তার পায়ে ধরে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বলে পালিয়ে যায়।
এদিকে নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত কথিত হবু স্বামী আবদুল্লাহ আল আওয়াদের শাস্তি দাবি এবং ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান নিহতের চাচা।
খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম কবিরের নির্দেশে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী অফিসার এসআই গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব না। প্রাথমিকভাবে ভিকটিমের পরিবার হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে আসছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলে ঘটনার রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কাবিনের দিনই হবু স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা!
বিয়ের কাবিনের দিন ধার্য ছিল বুধবার। সেভাবেই প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। কনের বাড়ির লোকজন কাজি অফিসে যান। কনে একা বাড়িতে ছিলেন। এই ফাঁকে বাড়িতে এসে হবু স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে হবু স্বামীর বিরুদ্ধে।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের মধ্যম শিয়াপাড়া এলাকা থেকে ডালিয়া আক্তার নামের এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় তার মৃতদেহ বসতবাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
নিহত ডালিয়া আক্তার একই এলাকার মৃত ইসমাইলের মেয়ে। তিনি আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহত ডালিয়ার ছোট ভাই মামুন অর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, একই ইউনিয়নের উত্তর মাইজপাড়া এলাকার ওয়াহেদুল হকের ছেলে আবদুল্লাহ আল আওয়াদের সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার বোনের কাবিনের দিন ধার্য ছিল। এ লক্ষ্যে বাড়ির সবাই কাজি অফিসে চলে যান। এ সময়ে হবু স্বামী আবদুল্লাহ আল আওয়াদ বাড়িতে এসে বোনকে গলাটিপে হত্যা করে।
মামুন আরও বলেন, কাজি অফিসে কনের পক্ষে লোকজন অপেক্ষমাণ ছিলেন কিন্তু বরের পক্ষের কেউ আসেননি। ওই সময়ে কাজির নির্দেশে তিনি বাড়িতে কনের আইডি কার্ডের জন্য গেলে হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য দেখতে পান বলেও জানান। এ সময় অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল আওয়াদ তার পায়ে ধরে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বলে পালিয়ে যায়।
এদিকে নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত কথিত হবু স্বামী আবদুল্লাহ আল আওয়াদের শাস্তি দাবি এবং ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান নিহতের চাচা।
খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম কবিরের নির্দেশে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী অফিসার এসআই গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব না। প্রাথমিকভাবে ভিকটিমের পরিবার হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে আসছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলে ঘটনার রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।