পূবাইলে এক গ্রামে এক মাসে চার ডাকাতি, প্রশাসন নির্বিকার
পূবাইল ও পূর্বাচল প্রতিনিধি
০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:০৮:১৮ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ডাকাতরা যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। কোনোভাবেই থামছে না ডাকাতির মতো ঘটনা। ইংরেজি নববর্ষ পালন, শুভেচ্ছা বিনিময়ে যখন সবাই ব্যস্ত ঠিক সেই সময়ই ডাকাতরা লুট করে নিয়ে গেছে আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তির বসতবাড়ি থেকে নগদ ৭ লক্ষাধিক টাকাসহ ৪ ভরি স্বর্ণালংকার।
রোববার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আর এ নিয়ে একই গ্রামে এক মাসের মধ্যে ৪টি ডাকাতির ঘটনা ঘটল। সেই সঙ্গে অন্তত দুটি ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে ডাকাতেরা। ডাকাতরা মালামাল লুটের মধ্য দিয়েই ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করল। ডাকাতি প্রতিরোধ ও ডাকাতদের ধরতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সোমবার ভোরে পূবাইল থানার ৩৯নং ওয়ার্ডের হায়দারাবাদ তালতলা পশ্চিমপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের বসতবাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকতরা ওই বাড়ি থেকে নগদ ৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। লুট হওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকার ওই বাড়ির বড় ছেলের বিয়ে উপলক্ষে রাখা ছিল।
বাড়ির মালিক আবুল হোসেন বলেন, ভোর পৌনে ৫টার দিকে ১৩-১৪ জনের একদল ডাকাত সদস্য আমার বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় শাবল দিয়ে কলাপসিবল গেটের তালা ও দুটি দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ডাকাতরা। পরে আমার স্ত্রী ও দুই ছেলে এবং আমাকে চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘর থাকা নগদ ৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা ও ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। ডাকাতরা চলে গেলে আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। পরে সকাল ৮টার দিকে পূবাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১৮ জানুয়ারি আমার বড় ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান। বিয়ে উপলক্ষ্যে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ঘরে রাখা ছিল। ডাকাতরা তা লুট করে নিয়ে গেছে।
জিএমপির পূবাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুব বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পূবাইলে এক গ্রামে এক মাসে চার ডাকাতি, প্রশাসন নির্বিকার
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ডাকাতরা যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। কোনোভাবেই থামছে না ডাকাতির মতো ঘটনা। ইংরেজি নববর্ষ পালন, শুভেচ্ছা বিনিময়ে যখন সবাই ব্যস্ত ঠিক সেই সময়ই ডাকাতরা লুট করে নিয়ে গেছে আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তির বসতবাড়ি থেকে নগদ ৭ লক্ষাধিক টাকাসহ ৪ ভরি স্বর্ণালংকার।
রোববার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আর এ নিয়ে একই গ্রামে এক মাসের মধ্যে ৪টি ডাকাতির ঘটনা ঘটল। সেই সঙ্গে অন্তত দুটি ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে ডাকাতেরা। ডাকাতরা মালামাল লুটের মধ্য দিয়েই ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করল। ডাকাতি প্রতিরোধ ও ডাকাতদের ধরতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সোমবার ভোরে পূবাইল থানার ৩৯নং ওয়ার্ডের হায়দারাবাদ তালতলা পশ্চিমপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের বসতবাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকতরা ওই বাড়ি থেকে নগদ ৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। লুট হওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকার ওই বাড়ির বড় ছেলের বিয়ে উপলক্ষে রাখা ছিল।
বাড়ির মালিক আবুল হোসেন বলেন, ভোর পৌনে ৫টার দিকে ১৩-১৪ জনের একদল ডাকাত সদস্য আমার বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় শাবল দিয়ে কলাপসিবল গেটের তালা ও দুটি দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ডাকাতরা। পরে আমার স্ত্রী ও দুই ছেলে এবং আমাকে চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘর থাকা নগদ ৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা ও ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। ডাকাতরা চলে গেলে আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। পরে সকাল ৮টার দিকে পূবাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১৮ জানুয়ারি আমার বড় ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান। বিয়ে উপলক্ষ্যে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ঘরে রাখা ছিল। ডাকাতরা তা লুট করে নিয়ে গেছে।
জিএমপির পূবাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুব বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।