নির্যাতনের পর গরম পানি দিয়ে ঝলসানো হয় সুমাইয়ার শরীর
কুমিল্লা ব্যুরো
০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:০১:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
কুমিল্লায় সুমাইয়া আক্তার নামে এক গৃহপরিচারিকাকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০-১২ বছরের ওই শিশুর পুরো শরীরে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন। রয়েছে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়ার ঘা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু তাহেরের স্ত্রী তাহমিনা তুহিন তার ওপর চালিয়েছেন এমন ভয়াবহ নির্যাতন। মঙ্গলবার রাতে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আটক করা হয়েছে গৃহকর্ত্রী তাহমিনাকে।
কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুর ভিক্টোরিয়া কলেজসংলগ্ন পূর্ব দৌলতপুর এলাকার এসআরটি প্যালেস বাসায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা চলছে ওই শিশুটির। তার গ্রামের বাড়ি জেলার দেবিদ্বার উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নির্যাতিত শিশু জানায়, আবু তাহেরের মেয়ে ফাহমিদা তিমুর ঢাকার বাসা ও আবু তাহেরের কুমিল্লার বাসায় চার বছর ধরে কাজ করছে সে। কাজে দেরি হলেই তাহেরের স্ত্রী ও মেয়ে ফাহমিদা তাহের তিমু বেত দিয়ে মারধর করে এবং গরম পানি ঢেলে দেয়।
মঙ্গলবার গরম পানি ঢেলে তার পা ঝলসে দেয়। সন্ধ্যার দিকে সে বারান্দা দিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়ে এবং পাশের মেয়েদের একটি হোস্টেলে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কলেজছাত্রী বলেন, কয়েক দিন ধরে আমরা ওপরে চিৎকার চেচামেচি শুনি। মঙ্গলবারও একই আওয়াজ শুনি। পরে দেখি ছোট একটি মেয়ে আমাদের রুমে প্রবেশ করে আশ্রয় চায়। তার পা ঝলসে যাওয়া। পরে আমরা ৯৯৯-এ বিষয়টি পুলিশে জানাই। এ সময় আবু তাহেরের স্ত্রী তাহমিনা তুহিন মেয়েকে আটকে রাখতে চেয়েছেন। স্থানীয়দের বাধায় পারেননি।
এ বিষয়ে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু তাহের বলেন, মেয়েটি আমাদের আত্মীয়। আজ আমি বাইরে ছিলাম। আমার স্ত্রী জানিয়েছেন, তাকে মারধর করেননি। সে পাপোসে পা পিছলে পড়ে পায়ে একটু গরম পানি পড়েছে। পাশের হোস্টেলের একটি মেয়ে বিষয়টিকে বড় করেছে।
বুধবার দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, আমরা গৃহকর্ত্রী তাহমিনাকে থানায় নিয়ে এসেছি। মেয়েটির পা ঝলসে গেছে। ওর চিকিৎসা চলছে। শিশুটির পরিবারের লোকজন এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নির্যাতনের পর গরম পানি দিয়ে ঝলসানো হয় সুমাইয়ার শরীর
কুমিল্লায় সুমাইয়া আক্তার নামে এক গৃহপরিচারিকাকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০-১২ বছরের ওই শিশুর পুরো শরীরে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন। রয়েছে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়ার ঘা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু তাহেরের স্ত্রী তাহমিনা তুহিন তার ওপর চালিয়েছেন এমন ভয়াবহ নির্যাতন। মঙ্গলবার রাতে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আটক করা হয়েছে গৃহকর্ত্রী তাহমিনাকে।
কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুর ভিক্টোরিয়া কলেজসংলগ্ন পূর্ব দৌলতপুর এলাকার এসআরটি প্যালেস বাসায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা চলছে ওই শিশুটির। তার গ্রামের বাড়ি জেলার দেবিদ্বার উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নির্যাতিত শিশু জানায়, আবু তাহেরের মেয়ে ফাহমিদা তিমুর ঢাকার বাসা ও আবু তাহেরের কুমিল্লার বাসায় চার বছর ধরে কাজ করছে সে। কাজে দেরি হলেই তাহেরের স্ত্রী ও মেয়ে ফাহমিদা তাহের তিমু বেত দিয়ে মারধর করে এবং গরম পানি ঢেলে দেয়।
মঙ্গলবার গরম পানি ঢেলে তার পা ঝলসে দেয়। সন্ধ্যার দিকে সে বারান্দা দিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়ে এবং পাশের মেয়েদের একটি হোস্টেলে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কলেজছাত্রী বলেন, কয়েক দিন ধরে আমরা ওপরে চিৎকার চেচামেচি শুনি। মঙ্গলবারও একই আওয়াজ শুনি। পরে দেখি ছোট একটি মেয়ে আমাদের রুমে প্রবেশ করে আশ্রয় চায়। তার পা ঝলসে যাওয়া। পরে আমরা ৯৯৯-এ বিষয়টি পুলিশে জানাই। এ সময় আবু তাহেরের স্ত্রী তাহমিনা তুহিন মেয়েকে আটকে রাখতে চেয়েছেন। স্থানীয়দের বাধায় পারেননি।
এ বিষয়ে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু তাহের বলেন, মেয়েটি আমাদের আত্মীয়। আজ আমি বাইরে ছিলাম। আমার স্ত্রী জানিয়েছেন, তাকে মারধর করেননি। সে পাপোসে পা পিছলে পড়ে পায়ে একটু গরম পানি পড়েছে। পাশের হোস্টেলের একটি মেয়ে বিষয়টিকে বড় করেছে।
বুধবার দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, আমরা গৃহকর্ত্রী তাহমিনাকে থানায় নিয়ে এসেছি। মেয়েটির পা ঝলসে গেছে। ওর চিকিৎসা চলছে। শিশুটির পরিবারের লোকজন এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।