কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

 কুমিল্লা ব্যুরো 
১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৭ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ও দুই স্যানিটারি মিস্ত্রিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রাইভেটকার সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সিএনজিচালক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুটুম্বপুর এলাকায় ঢাকাগামী প্রাইভেটকার ও বিপরীত দিক ইলিয়টগঞ্জ থেকে আসা কুমিল্লামুখী সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিচালক হাবিব (৩০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

নিহত চালক হাবিব চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কুটুম্বপুর গ্ৰামের দক্ষিণ-পূর্বপাড়া ইউছুফ মোল্লা বাড়ির অলিউল্লাহর ছেলে। নিহত হাবিবের দুই ছেলে ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

জানা যায়, ইলিয়টগঞ্জ সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে উপজেলার কুটুম্বপুর ফরাজিবাড়ি সামনের ইউটার্ন হয়ে কুমিল্লামুখী উল্টোপথে সিএনজি ও ঢাকাগামী প্রাইভেটকার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এসময় সিএনজির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি দুটিকে উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। এ ঘটনায় প্রাইভেটকার চালক পলাতক রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার (এএসআই) নিরস্ত্র মো. সোহেল রানা। তিনি জানান, নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে একই দিন সকাল ৮টায় কুমিল্লার লালমাইয়ে অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় মো. ফরিদ মিয়া ও জাহাঙ্গীর নামে দুজন নিহত হয়েছেন। লালমাই উপজেলার বড় ধর্মপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ফরিদ মিয়া ও জাহাঙ্গীর হোসেন বরুড়া উপজেলার শীলমুড়ি উত্তর ইউনিয়নের দীঘলগাঁও (রং বাড়ি) গ্রামের বাসিন্দা। তারা দুজন পেশায় পাইপ ফিল্টারের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।

লাকসাম হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সকালে দুজন কাজের উদ্দেশ্য বের হয়ে লালমাইয়ের বড় ধর্মপুর এলাকায় জামান ব্রিকস ফিল্ড (ফাঁকা এলাকা) এলাকায় সম্ভবত রাস্তা পারাপারের সময় অজ্ঞাত গাড়ি চাপা দিলে দুজন নিহত হন। স্থানীয়দের কেউ লাশ দুটো দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে লাকসাম হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে লাকসাম হাইওয়ে থানার আইসি মঞ্জুরুল আহসান ভূঁইয়া বলেন, মরদেহ দুটো পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের কেউ পুলিশকে খবর দিলে আমরা সেখানে গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসি। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন