ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৫৪ ইউটার্ন এখন মরণ ফাঁদ
আবুল খায়ের, কুমিল্লা ব্যুরো
২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৫৬:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৫৪টি ইউটার্ন এখন মরণফাঁদ। প্রতিদিনই এসব ইউটার্নে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। প্রাণ যাচ্ছে অসংখ্য যাত্রী ও পথচারীর। পঙ্গুত্ব বরণ করছে অনেকেই।
দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কুমিল্লা থেকে তদারকি করা হয় হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চল। এর অধীনে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের (পার্বত্য এলাকা ছাড়া) ৭৮০ কিমি মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক।
এর মধ্যে দেশের লাইফ লাইনখ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এসব সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে। হাইওয়ে পুলিশের সমীক্ষায় দুর্ঘটনার জন্য ১০টিরও বেশি কারণ চিহ্নিত করা হলেও এর প্রতিকারে নেই সরকারি উদ্যোগ।
বিপজ্জনক ইউটার্ন, মোটরসাইকেলসহ কমগতির ছোট যানবাহনের জন্য আলাদা লেন না থাকা, ৫ শতাধিক ফিডার রোড, মহাসড়কসংলগ্ন বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করাসহ বেশ কয়েকটি কারণে ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে বলে হাইওয়ে পুলিশ দাবি করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাইওয়ে পুলিশের মাঠপর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষা, চিকিৎসা, জীবিকা নির্বাহ থেকে নিত্যপ্রয়োজনে হাইওয়ের আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কম দূরত্বে চলাচলে একমাত্র ভরসা সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ কিছু ছোট যানবাহন।
আলাদা লেন না থাকায় দ্রুতগতির যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগুলো চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটায়। তাই সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আলাদা লেন তৈরির বিষয়টি জরুরি।
কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সড়ক-মহাসড়কে ছোট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ কিংবা এদের জন্য আলাদা লেন করার দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। জাতীয়ভাবে এসব সমস্যা সরকারের নজরে আনা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
সওজ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীত চাকমা বলেন, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ইউটার্নগুলোতে রিফ্লেক্টিভ স্টিকার ভেঙে যাওয়ায় লোকজন সেগুলো নিয়ে গেছে। বর্তমানে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে মেরামতের কাজ চলছে। শেষ হলে শিগগিরই রোড সাইন স্থাপন করা হবে।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ নিয়োমিত অভিযান, সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও চালকদের প্রশিক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সড়কে দ্রুতগতির বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকারের সঙ্গে একই লেনে চলে মোটরসাইকেলসহ কম গতির যানবাহন। কারণ এ অঞ্চলের কম দূরত্বের যাতায়াতে জরুরি প্রয়োজনে শিক্ষার্থী, রোগী, শ্রমিকসহ সাধারণ লোকজনের জন্য মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহনই একমাত্র ভরসা। তাই ছোট যানবাহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হলে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৫৪ ইউটার্ন এখন মরণ ফাঁদ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৫৪টি ইউটার্ন এখন মরণফাঁদ। প্রতিদিনই এসব ইউটার্নে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। প্রাণ যাচ্ছে অসংখ্য যাত্রী ও পথচারীর। পঙ্গুত্ব বরণ করছে অনেকেই।
দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কুমিল্লা থেকে তদারকি করা হয় হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চল। এর অধীনে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের (পার্বত্য এলাকা ছাড়া) ৭৮০ কিমি মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক।
এর মধ্যে দেশের লাইফ লাইনখ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এসব সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে। হাইওয়ে পুলিশের সমীক্ষায় দুর্ঘটনার জন্য ১০টিরও বেশি কারণ চিহ্নিত করা হলেও এর প্রতিকারে নেই সরকারি উদ্যোগ।
বিপজ্জনক ইউটার্ন, মোটরসাইকেলসহ কমগতির ছোট যানবাহনের জন্য আলাদা লেন না থাকা, ৫ শতাধিক ফিডার রোড, মহাসড়কসংলগ্ন বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করাসহ বেশ কয়েকটি কারণে ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে বলে হাইওয়ে পুলিশ দাবি করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাইওয়ে পুলিশের মাঠপর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষা, চিকিৎসা, জীবিকা নির্বাহ থেকে নিত্যপ্রয়োজনে হাইওয়ের আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কম দূরত্বে চলাচলে একমাত্র ভরসা সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ কিছু ছোট যানবাহন।
আলাদা লেন না থাকায় দ্রুতগতির যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগুলো চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটায়। তাই সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে আলাদা লেন তৈরির বিষয়টি জরুরি।
কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সড়ক-মহাসড়কে ছোট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ কিংবা এদের জন্য আলাদা লেন করার দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। জাতীয়ভাবে এসব সমস্যা সরকারের নজরে আনা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
সওজ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীত চাকমা বলেন, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ইউটার্নগুলোতে রিফ্লেক্টিভ স্টিকার ভেঙে যাওয়ায় লোকজন সেগুলো নিয়ে গেছে। বর্তমানে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে মেরামতের কাজ চলছে। শেষ হলে শিগগিরই রোড সাইন স্থাপন করা হবে।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ নিয়োমিত অভিযান, সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও চালকদের প্রশিক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সড়কে দ্রুতগতির বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকারের সঙ্গে একই লেনে চলে মোটরসাইকেলসহ কম গতির যানবাহন। কারণ এ অঞ্চলের কম দূরত্বের যাতায়াতে জরুরি প্রয়োজনে শিক্ষার্থী, রোগী, শ্রমিকসহ সাধারণ লোকজনের জন্য মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহনই একমাত্র ভরসা। তাই ছোট যানবাহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হলে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।