১১ নৌকা-স্পেশাল ট্রেনে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় গেলেন ৪০ হাজার মানুষ
jugantor
১১ নৌকা-স্পেশাল ট্রেনে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় গেলেন ৪০ হাজার মানুষ

  বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি  

২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪১:৫৫  |  অনলাইন সংস্করণ

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছবি সংবলিত গেঞ্জি পরে রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট উপজেলার নেতাকর্মীরা ১১টি নৌকা ও স্পেশাল ট্রেনযোগে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসেন। এ সময় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আসেন সেখান থেকে।

রোববার সকাল ৮টায় বাঘা উপজেলার কালিদাসখালী ও মীরগঞ্জরাওথা পদ্মা নদীর ঘাট এবং চারঘাট উপজেলার পিরোজপুর, ডালিপাড়া, গোপালপুর, মুক্তারপুর, বড়াল নদের মহনা থেকে নৌকাগুলো ছাড়া হয়।

এছাড়া আড়ানী থেকে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে স্পেশাল ট্রেন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

সব বয়সের মানুষ নৌকা ও ট্রেনে ছিল। দীপ্তকণ্ঠে বারবার উচ্চারিত হতে থাকে ‘উন্নয়নের সরকার বারবার দরকার। আওয়ামী লীগ সরকার আরেক বার দরকার।’

এদিকে সকাল ৮টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে হাজার হাজার মানুষ জনসভায় যোগ দিতে দেখা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখার জন্য চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী পদ্মা নদীর ঘাটে সকাল সাড়ে ৭টায় হাজির হন ৬৫ বছর বয়সের বেলাল শেখ। চকরাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ানের নেতৃত্বে বেলাল শেখের মতো এই নৌকায় উঠেন আরও ৬৫ জন মানুষ। কালিদাসখালী পদ্মা নদীর ঘাট থেকে ৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বেলা ১১টার দিকে জনসভায় উপস্থিত হন তারা।

বেলাল শেখ প্রধানমন্ত্রীকে টেলিভিশনে অনেকবার দেখেছেন; কিন্তু কাছে থেকে প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চান। শুধু বেলাল শেখই নয়, তার মতো হাজারও নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে দেখা ও তার ভাষণ শোনার জন্য রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে আসনে।

এদিকে চারঘাটের মুক্তারপুর, পিরোজপুর, ডালিপাড়া, বড়াল নদের মহনা, গোপালপুর পদ্মা নদীর ঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নৌকাগুলো জনসভার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। নৌকাগুলো বেলা সাড়ে ১১টার পর মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন পদ্মা নদীর ঘাটে পৌঁছে।

এছাড়া আড়ানী থেকে স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে হাজারও নেতাকর্মী জনসভায় উপস্থিত হন। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে আড়ানী থেকে ট্রেন ছেড়ে যায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলে জানান আড়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক।

এই ট্রেনের যাত্রী ঝিনা গ্রামের আরশাদ আলী (৮০) বলেন, বঙ্গবন্ধু অনেক আগে রাজশাহীতে এসেছিলেন। ওই সময় তিনি ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ট্রেন নিরাপদ তাই ট্রেনে জনসভায় এসেছি। তেমনি বঙ্গবন্ধুর কন্যার জনসভায় আমাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, আমরা যাচ্ছি।

তিনি বলেন, শুনেন ভাই, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়। সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হয়। তার বিকল্প নেই। আমরা আগামীতেও তাকে চাই।

এ জনসভায় স্মরণকালের বড় সমাবেশে মানুষের স্রোত নেমেছিল। কয়েক লাখ মানুষের উপস্থিতিতে মাঠ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। মাঠে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। শুধু জনসভাস্থলই নয়, গোটা শহর পরিণত হয়েছিল জনারণ্যে। প্রতিটি রাস্তা ও অলিগলিতে ছিল মানুষ আর মানুষ।

এদিকে জনসভায় আসা গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়েজউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, গোদাগাড়ীর পদ্মার ওপারে আষাড়দহ ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের লোকজন নৌকায় পার হয়ে এপারে এসে ১২টি বাস যোগে জনসভায় এসেছেন।প্রধানমন্ত্রী পদ্মার চরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চান। সারা দেশের উন্নয়নের একমাত্র রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমতায় আছেন বলেই পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহযোগিতায় বাঘা-চারঘাট থেকে ১১টি নৌকা ও ২৯ কিলোমিটারের জন্য ১টি স্পেশাল ট্রেন, ১৫০টি বাস, ২টি ট্রাক, অটো-ভটভটি ৭১টি, মাইক্রো ১৫টি যোগে ৪০ হাজার মানুষ জনসভায় উপস্থিত হন বলে দাবি করেন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল। এছাড়া ৩৬টি বাস, ২৩টি ট্রাক, মাইক্রো ৫টি, অটো-ভটভটি ১০টি যোগে মানুষ নিয়ে জনসভায় উপস্থিত হন নবনির্বাচিত বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী।

এদিকে নৌকা বানিয়ে ছুটে আসেন তানোরের আবদুল মতিন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ও মানুষকে আনন্দ দিতে এবং নিজে আনন্দ পাওয়ার জন্য জনসভায় এসেছেন বলে জানান তিনি।

আড়ানী রেলস্টেশন মাস্টার সদরুল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আপ এবং ডাউনের জন্য আড়ানী থেকে রেল বিভাগের নির্দেশনায় ৬টি বগি বিশিষ্ট একটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। সেই ট্রেন সকাল ৯টা ২০ মিনিটে আড়ানী থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

১১ নৌকা-স্পেশাল ট্রেনে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় গেলেন ৪০ হাজার মানুষ

 বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি 
২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৪১ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছবি সংবলিত গেঞ্জি পরে রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট উপজেলার নেতাকর্মীরা ১১টি নৌকা ও স্পেশাল ট্রেনযোগে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসেন। এ সময় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ আসেন সেখান থেকে। 

রোববার সকাল ৮টায় বাঘা উপজেলার কালিদাসখালী ও মীরগঞ্জরাওথা পদ্মা নদীর ঘাট এবং চারঘাট উপজেলার পিরোজপুর, ডালিপাড়া, গোপালপুর, মুক্তারপুর, বড়াল নদের মহনা থেকে নৌকাগুলো ছাড়া হয়।

এছাড়া আড়ানী থেকে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে স্পেশাল ট্রেন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

সব বয়সের মানুষ নৌকা ও ট্রেনে ছিল। দীপ্তকণ্ঠে বারবার উচ্চারিত হতে থাকে ‘উন্নয়নের সরকার বারবার দরকার। আওয়ামী লীগ সরকার আরেক বার দরকার।’

এদিকে সকাল ৮টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে হাজার হাজার মানুষ জনসভায় যোগ দিতে দেখা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখার জন্য চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী পদ্মা নদীর ঘাটে সকাল সাড়ে ৭টায় হাজির হন ৬৫ বছর বয়সের বেলাল শেখ। চকরাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ানের নেতৃত্বে বেলাল শেখের মতো এই নৌকায় উঠেন আরও ৬৫ জন মানুষ। কালিদাসখালী পদ্মা নদীর ঘাট থেকে ৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বেলা ১১টার দিকে জনসভায় উপস্থিত হন তারা।

বেলাল শেখ প্রধানমন্ত্রীকে টেলিভিশনে অনেকবার দেখেছেন; কিন্তু কাছে থেকে প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চান। শুধু বেলাল শেখই নয়, তার মতো হাজারও নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে দেখা ও তার ভাষণ শোনার জন্য রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে আসনে।

এদিকে চারঘাটের মুক্তারপুর, পিরোজপুর, ডালিপাড়া, বড়াল নদের মহনা, গোপালপুর পদ্মা নদীর ঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নৌকাগুলো জনসভার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। নৌকাগুলো বেলা সাড়ে ১১টার পর মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন পদ্মা নদীর ঘাটে পৌঁছে।

এছাড়া আড়ানী থেকে স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে হাজারও নেতাকর্মী জনসভায় উপস্থিত হন। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে আড়ানী থেকে ট্রেন ছেড়ে যায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলে জানান আড়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক।

এই ট্রেনের যাত্রী ঝিনা গ্রামের আরশাদ আলী (৮০) বলেন, বঙ্গবন্ধু অনেক আগে রাজশাহীতে এসেছিলেন। ওই সময় তিনি ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ট্রেন নিরাপদ তাই ট্রেনে জনসভায় এসেছি। তেমনি বঙ্গবন্ধুর কন্যার জনসভায় আমাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, আমরা যাচ্ছি।

তিনি বলেন, শুনেন ভাই, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়। সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হয়। তার বিকল্প নেই। আমরা আগামীতেও তাকে চাই।

এ জনসভায় স্মরণকালের বড় সমাবেশে মানুষের স্রোত নেমেছিল। কয়েক লাখ মানুষের উপস্থিতিতে মাঠ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। মাঠে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। শুধু জনসভাস্থলই নয়, গোটা শহর পরিণত হয়েছিল জনারণ্যে। প্রতিটি রাস্তা ও অলিগলিতে ছিল মানুষ আর মানুষ।

এদিকে জনসভায় আসা গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়েজউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, গোদাগাড়ীর পদ্মার ওপারে আষাড়দহ ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের লোকজন নৌকায় পার হয়ে এপারে এসে ১২টি বাস যোগে জনসভায় এসেছেন।প্রধানমন্ত্রী পদ্মার চরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চান। সারা দেশের উন্নয়নের একমাত্র রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমতায় আছেন বলেই পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহযোগিতায় বাঘা-চারঘাট থেকে ১১টি নৌকা ও ২৯ কিলোমিটারের জন্য ১টি স্পেশাল ট্রেন, ১৫০টি বাস, ২টি ট্রাক, অটো-ভটভটি ৭১টি, মাইক্রো ১৫টি যোগে ৪০ হাজার মানুষ জনসভায় উপস্থিত হন বলে দাবি করেন বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল। এছাড়া ৩৬টি বাস, ২৩টি ট্রাক, মাইক্রো ৫টি, অটো-ভটভটি ১০টি যোগে মানুষ নিয়ে জনসভায় উপস্থিত হন নবনির্বাচিত বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী।

এদিকে নৌকা বানিয়ে ছুটে আসেন তানোরের আবদুল মতিন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ও মানুষকে আনন্দ দিতে এবং নিজে আনন্দ পাওয়ার জন্য জনসভায় এসেছেন বলে জানান তিনি।

আড়ানী রেলস্টেশন মাস্টার সদরুল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আপ এবং ডাউনের জন্য আড়ানী থেকে রেল বিভাগের নির্দেশনায় ৬টি বগি বিশিষ্ট একটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। সেই ট্রেন সকাল ৯টা ২০ মিনিটে আড়ানী থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন