ঘুস নিয়ে খাসজমিতে জামায়াত নেতাকে বাড়ি করার অনুমতির অভিযোগ
jugantor
ঘুস নিয়ে খাসজমিতে জামায়াত নেতাকে বাড়ি করার অনুমতির অভিযোগ

  বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি  

২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৫১:১৩  |  অনলাইন সংস্করণ

রাজশাহীর বাগমারায় ১০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে এক জামায়াত নেতাকে সরকারি খাসজমিতে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন বড়বিহানালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব (উপসহকারী কর্মকর্তা) মোস্তাফিজুর রহমান।

ওই জামায়াত নেতা জোনাব আলী নায়েবকে ঘুস দিয়ে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি পাওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ভবানীগঞ্জ-বাঁধেরহাট সড়কের পাশে দ্বীপপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন হাসানপুর মৌজায় ২১২৩নং দাগে ৬ শতক সরকারি খাসজমি রয়েছে। প্রশাসনের কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই হাসানপুর গ্রামের জোনাব আলী নামে জামায়াতের এক শীর্ষ নেতা ওই খাসজমি দখল করে নিয়ে পাকাবাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ ঘটনায় একই গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে ফজলুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

এরপর বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বড়বিহানালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবকে আদেশ দেওয়া হয়। আদেশ পাওয়ার পর ওই ভূমি অফিসের নায়েব মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকারি খাসজমিতে বাড়ি নির্মাণ কাজ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেন। এর কিছুক্ষণ পরই ওই জামায়াত নেতার কাছে থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুস পাওয়ায় ওই খাসজমিতেই বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেন নায়েব মোস্তাফিজুর রহমান।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জামায়াত নেতা জোনাব আলী বলেন, হঠাৎ এরকম একটা বাঁধা আসায় তার বাড়ি নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে বাড়ি নির্মাণের স্বার্থেই তিনি নায়েব মোস্তাফিজুর রহমানকে ১০ হাজার এবং অভিযোগকারী ফজলুর রহমানকে সাত হাজার টাকা দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।

এদিকে অভিযোগকারী ফজলুর রহমান বলেন, জোনাব আলী সরকারি খাসজমিতে অবৈধভাবে পাকাবাড়ি নির্মাণ করছেন বলেই সে আমাকে এবং নায়েবকে টাকা দিয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নায়েব মোস্তাফিজুর রহমান ঘুস গ্রহণের কথা অস্বীকার করেছেন। তবে এ বিষয়ে ঘুস প্রদানকারী জোনাব আলীর ভিডিও বক্তব্য রয়েছে বলে জানানো হলে এ নিয়ে কোনো কিছু না লিখার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম আবু সুফিয়ান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে ঘুস প্রদানকারী, অভিযোগকারী এবং নায়েবকে সোমবার অফিসে ডাকা হয়েছে।

ঘুস নিয়ে খাসজমিতে জামায়াত নেতাকে বাড়ি করার অনুমতির অভিযোগ

 বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি 
২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫১ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

রাজশাহীর বাগমারায় ১০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে এক জামায়াত নেতাকে সরকারি খাসজমিতে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন বড়বিহানালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব (উপসহকারী কর্মকর্তা) মোস্তাফিজুর রহমান।

ওই জামায়াত নেতা জোনাব আলী নায়েবকে ঘুস দিয়ে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি পাওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ভবানীগঞ্জ-বাঁধেরহাট সড়কের পাশে দ্বীপপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন হাসানপুর মৌজায় ২১২৩নং দাগে ৬ শতক সরকারি খাসজমি রয়েছে। প্রশাসনের কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই হাসানপুর গ্রামের জোনাব আলী নামে জামায়াতের এক শীর্ষ নেতা ওই খাসজমি দখল করে নিয়ে পাকাবাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ ঘটনায় একই গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে ফজলুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

এরপর বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বড়বিহানালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবকে আদেশ দেওয়া হয়। আদেশ পাওয়ার পর ওই ভূমি অফিসের নায়েব মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকারি খাসজমিতে বাড়ি নির্মাণ কাজ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেন। এর কিছুক্ষণ পরই ওই জামায়াত নেতার কাছে থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুস পাওয়ায় ওই খাসজমিতেই বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেন নায়েব মোস্তাফিজুর রহমান।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জামায়াত নেতা জোনাব আলী বলেন, হঠাৎ এরকম একটা বাঁধা আসায় তার বাড়ি নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে বাড়ি নির্মাণের স্বার্থেই তিনি নায়েব মোস্তাফিজুর রহমানকে ১০ হাজার এবং অভিযোগকারী ফজলুর রহমানকে সাত হাজার টাকা দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।

এদিকে অভিযোগকারী ফজলুর রহমান বলেন, জোনাব আলী সরকারি খাসজমিতে অবৈধভাবে পাকাবাড়ি নির্মাণ করছেন বলেই সে আমাকে এবং নায়েবকে টাকা দিয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নায়েব মোস্তাফিজুর রহমান ঘুস গ্রহণের কথা অস্বীকার করেছেন। তবে এ বিষয়ে ঘুস প্রদানকারী জোনাব আলীর ভিডিও বক্তব্য রয়েছে বলে জানানো হলে এ নিয়ে কোনো কিছু না লিখার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম আবু সুফিয়ান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে ঘুস প্রদানকারী, অভিযোগকারী এবং নায়েবকে সোমবার অফিসে ডাকা হয়েছে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন