সাবেক মেম্বারের দরজার সামনে কাফনের কাপড়!
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:০৬:০৬ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের নিহার গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) আ. হাকিমের ঘরের দরজার সামনে মিলেছে কাফনের কাপড়। এতে আতঙ্কে পড়ে যান হাকিম। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
পরে সেই কাপড় থানায় নিয়ে যান হাকিম। পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করে ঘটনার হোতাকে খুঁজ করছে।
মোহনগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম রোববার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার ভোরে উপজেলার সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের নিহারা গ্রামের সাবেক মেম্বার আ. হাকিমের ঘরের দরজায় এ কাফনের কাপড় পাওয়া যায়।
সাবেক মেম্বার আ. হাকিম জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘরের দরজা খোলেন আমার স্ত্রী। দরজা খুলেই বারান্দার একটি চেয়ারে পলিথিন মোড়ানো কাফনের কাপড় দেখতে পান। তার চিৎকারে দৌড়ে গিয়ে কাফনের কাপড় দেখে ভয়ে আঁতকে উঠি। এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিজেও এখন ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। পরে শনিবার দুপুরে কাফনের কাপড়টি থানায় নিয়ে যাই। পুলিশ এলাকায় এসেছিল।
আ. হাকিম আরও জানান, কিছুদিন আগে এলাকার একটি ছেলে খুন হয়েছে। খুনিকে ইতোমধ্যে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। সেই খুনের ঘটনার তদন্তে ভুক্তভোগী পরিবারকে সহযোগিতা করেছিলাম। মনে হচ্ছে ওই খুনির সহযোগীদের কেউ বদলা নিতে এমনটা করে থাকতে পারে।
জয়পুর গ্রামের জাকির হোসেন পাবেল জানান, গত ডিসেম্বরে আমার শ্যালক শরীফ খুন হয়। এ ঘটনায় গ্রামের মাজহারুল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। চলতি মাসে খুনের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। এতে মাজহারুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। খুনের ঘটনা তদন্তে মেম্বার আ. হাকিম আমাদের পাশে থেকে সহায়তা করেছেন। তাই তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওই পক্ষের কেউ এমন কাজ করে থাকতে পারে। আশা করছি পুলিশ তদন্ত করলে এর রহস্য উদঘাটন করতে পারবে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে একটা খুন হয়েছে এই গ্রামে। এখন আবার কাফনের কাপড় পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে এলাকায় এখন বাজারে সন্ধ্যার পর কেউ থাকছেন না। এমনকি ঘরের মধ্যেও মানুষ ভীত অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. জসিম বলেন, কাফনের কাপড় পাওয়ার পর এলাকার মানুষ কিছুটা ভয়ে রয়েছেন। তবে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
বারহাট্টা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্ট-মোহনগঞ্জ) সাইদুর রহমান বলেন, এতে ভয়ের কিছু নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ভুক্তভোগীরা থানায় এ ঘটনায় একটা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুক।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাবেক মেম্বারের দরজার সামনে কাফনের কাপড়!
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের নিহার গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) আ. হাকিমের ঘরের দরজার সামনে মিলেছে কাফনের কাপড়। এতে আতঙ্কে পড়ে যান হাকিম। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
পরে সেই কাপড় থানায় নিয়ে যান হাকিম। পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করে ঘটনার হোতাকে খুঁজ করছে।
মোহনগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম রোববার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার ভোরে উপজেলার সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের নিহারা গ্রামের সাবেক মেম্বার আ. হাকিমের ঘরের দরজায় এ কাফনের কাপড় পাওয়া যায়।
সাবেক মেম্বার আ. হাকিম জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘরের দরজা খোলেন আমার স্ত্রী। দরজা খুলেই বারান্দার একটি চেয়ারে পলিথিন মোড়ানো কাফনের কাপড় দেখতে পান। তার চিৎকারে দৌড়ে গিয়ে কাফনের কাপড় দেখে ভয়ে আঁতকে উঠি। এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিজেও এখন ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। পরে শনিবার দুপুরে কাফনের কাপড়টি থানায় নিয়ে যাই। পুলিশ এলাকায় এসেছিল।
আ. হাকিম আরও জানান, কিছুদিন আগে এলাকার একটি ছেলে খুন হয়েছে। খুনিকে ইতোমধ্যে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। সেই খুনের ঘটনার তদন্তে ভুক্তভোগী পরিবারকে সহযোগিতা করেছিলাম। মনে হচ্ছে ওই খুনির সহযোগীদের কেউ বদলা নিতে এমনটা করে থাকতে পারে।
জয়পুর গ্রামের জাকির হোসেন পাবেল জানান, গত ডিসেম্বরে আমার শ্যালক শরীফ খুন হয়। এ ঘটনায় গ্রামের মাজহারুল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। চলতি মাসে খুনের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। এতে মাজহারুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। খুনের ঘটনা তদন্তে মেম্বার আ. হাকিম আমাদের পাশে থেকে সহায়তা করেছেন। তাই তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওই পক্ষের কেউ এমন কাজ করে থাকতে পারে। আশা করছি পুলিশ তদন্ত করলে এর রহস্য উদঘাটন করতে পারবে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে একটা খুন হয়েছে এই গ্রামে। এখন আবার কাফনের কাপড় পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে এলাকায় এখন বাজারে সন্ধ্যার পর কেউ থাকছেন না। এমনকি ঘরের মধ্যেও মানুষ ভীত অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. জসিম বলেন, কাফনের কাপড় পাওয়ার পর এলাকার মানুষ কিছুটা ভয়ে রয়েছেন। তবে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
বারহাট্টা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্ট-মোহনগঞ্জ) সাইদুর রহমান বলেন, এতে ভয়ের কিছু নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ভুক্তভোগীরা থানায় এ ঘটনায় একটা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুক।