১৬ বছর পর লাশ হয়ে ফিরলেন অভিমানী বুলবুল
jugantor
১৬ বছর পর লাশ হয়ে ফিরলেন অভিমানী বুলবুল

  ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি  

২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:০৮:৩৬  |  অনলাইন সংস্করণ

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আতাউর রহমান বুলবুলের (৫০) সন্ধান পেয়েছে তার পরিবারের লোকজন। তবে জীবিত নয় মৃত অবস্থায়।

তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফেনী শহরে বসবাস করতেন। নিখোঁজ বুলবুল ক্ষেতলাল উপজেলার গাংগাইরের আবদুস সাত্তার মাস্টারের ছেলে।

বুলবুলের ভাই রেজাউল করিম রিপন জানিয়েছেন, বুলবুল ১৯৮৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার পর মানসিক সমস্যায় পড়েন। ২০০৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর হঠাৎ বুলবুল নিখোঁজ হয়। প্রায় ১০ বছর পর আমরা বুলবুল ফেনীতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে নিয়ে আসতে যাই। কিন্তু তাকে অনেক জোরজবরদস্তি করেও আনতে পারিনি। এরপর থেকে যাতায়াতের দূরত্বের কারণে বছরের পর বছর তার খবরাখবর আমরা আর পাইনি। ফেনী সদরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায় বুলবুলের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিলে তার খবর পাই। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অজ্ঞাতনামা হিসেবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সে মারা যায়। শনিবার সেখান থেকে তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোবাইল ফোনে জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর ফেনী শহরে তার চলাফেরা হলেও কখনো কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত করেননি বুলবুল। নিজের মতো করেই থাকতেন। রাস্তা-ঘাট, রেলপথ, বাসস্ট্যান্ডসহ ফেনী শহরের সব জায়গায় ছিল বুলবুলের পদচারণা। খাওয়া-দাওয়ায় অনাগ্রহী এই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়নি এমন ব্যক্তি ফেনীর বাসিন্দাদের মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফেনীর লোকজন তাকে বিভিন্ন ছদ্মনামে ডাকত। কেউ বলতেন ফেনীর মেয়র, কেউ বলতেন ফেনীর রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, বুলবুল বেশ কিছু দিন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অজ্ঞাত হিসেবে চিকিৎসাধীন থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে মারা যান।

বুলবুলের ছোট ভাই লেবু মেম্বার জানান, শনিবার ফেনী থেকে তার লাশ নিয়ে এসে রোববার বেলা ১১টায় আমাদের গাংগাইর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মা ও বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হয়েছে।

১৬ বছর পর লাশ হয়ে ফিরলেন অভিমানী বুলবুল

 ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি 
২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৮ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আতাউর রহমান বুলবুলের (৫০) সন্ধান পেয়েছে তার পরিবারের লোকজন। তবে জীবিত নয় মৃত অবস্থায়। 

তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে ফেনী শহরে বসবাস করতেন। নিখোঁজ বুলবুল ক্ষেতলাল উপজেলার গাংগাইরের আবদুস সাত্তার মাস্টারের ছেলে।

বুলবুলের ভাই রেজাউল করিম রিপন জানিয়েছেন, বুলবুল ১৯৮৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার পর মানসিক সমস্যায় পড়েন। ২০০৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর হঠাৎ বুলবুল নিখোঁজ হয়। প্রায় ১০ বছর পর আমরা বুলবুল ফেনীতে থাকার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে নিয়ে আসতে যাই। কিন্তু তাকে অনেক জোরজবরদস্তি করেও আনতে পারিনি। এরপর থেকে যাতায়াতের দূরত্বের কারণে বছরের পর বছর তার খবরাখবর আমরা আর পাইনি। ফেনী সদরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায় বুলবুলের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিলে তার খবর পাই। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অজ্ঞাতনামা হিসেবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সে মারা যায়। শনিবার সেখান থেকে তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়ের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোবাইল ফোনে জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর ফেনী শহরে তার চলাফেরা হলেও কখনো কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত করেননি বুলবুল। নিজের মতো করেই থাকতেন। রাস্তা-ঘাট, রেলপথ, বাসস্ট্যান্ডসহ ফেনী শহরের সব জায়গায় ছিল বুলবুলের পদচারণা। খাওয়া-দাওয়ায় অনাগ্রহী এই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়নি এমন ব্যক্তি ফেনীর বাসিন্দাদের মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফেনীর লোকজন তাকে বিভিন্ন ছদ্মনামে ডাকত। কেউ বলতেন ফেনীর মেয়র, কেউ বলতেন ফেনীর রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, বুলবুল বেশ কিছু দিন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অজ্ঞাত হিসেবে চিকিৎসাধীন থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে মারা যান।

বুলবুলের ছোট ভাই লেবু মেম্বার জানান, শনিবার ফেনী থেকে তার লাশ নিয়ে এসে রোববার বেলা ১১টায় আমাদের গাংগাইর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মা ও বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হয়েছে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন