বিক্রি হয়নি ‘কোটি টাকার খাট’
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ২৩:০৬:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
শেষ সময়ে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে সরগরম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বেড়েছে নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের বেচাবিক্রি। তবে ফার্নিচারের বিক্রি তেমন নেই।
মেলার ২৯তম দিন রোববারও অবিক্রীত ছিল কোটি টাকা দাম হাঁকানো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ১৬ পরীর খাট।
এদিন মেলা ঘুরে দেখা যায়, মূল্য ছাড়ের আশায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। ফলে বেড়েছে বেচাকেনাও। বিশেষ করে সাংসারিক বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনছেন মানুষ। তবে ফার্নিচারের দোকানগুলোতে ক্রেতা নেই। মাসব্যাপী স্টলে শুধু প্রদর্শনই হয়েছে। বিক্রি হয়নি তেমন। কারণ হিসাবে ক্রয়ে আগ্রহীদের অভিযোগ, দাম বেশি হাঁকানো হচ্ছে।
তবে সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, বাণিজ্য মেলা শুধু বিক্রির জন্য নয়, প্রদর্শনেও সফলতা আসে।
আখতার ফার্নিচারের কর্মকর্তা মিছির আলী বলেন, দর্শনার্থীদের কাছে পণ্যের দাম ও মডেল দেখানোর কাজটা হচ্ছে। এখানে বিক্রি হবে এমন আশা করা হয়নি। আমাদের পণ্যগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে ধারণা পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে। অর্ডারও পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে ‘কোটি টাকার খাট’ নিয়ে ফাতেমা এন্টারপ্রাইজের মালিক ও খাট প্রদর্শনকারী নুর নবী বলেন, আমাদের খাট আবু বকর নামে একজন মিস্ত্রি ৩ বছরের চেষ্টায় তৈরি করেছেন। এখানে ভালোমানের সেগুন কাঠের মূল অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে এর দাম কোটি টাকা চেয়েছি। এ পর্যন্ত মেলায় ৫৫ লাখ টাকা দাম ওঠেছে। কিন্তু আমরা দেইনি। দাম আরও কিছু বাড়ালে ছেড়ে দেব। মেলার বাকি দুদিনে এই খাট কেউ কিনবেন কিনা তা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে। তবে আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মানুষ জানতে পারল এটাও বড় পাওয়া।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বিক্রি হয়নি ‘কোটি টাকার খাট’
শেষ সময়ে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে সরগরম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বেড়েছে নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের বেচাবিক্রি। তবে ফার্নিচারের বিক্রি তেমন নেই।
মেলার ২৯তম দিন রোববারও অবিক্রীত ছিল কোটি টাকা দাম হাঁকানো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ১৬ পরীর খাট।
এদিন মেলা ঘুরে দেখা যায়, মূল্য ছাড়ের আশায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। ফলে বেড়েছে বেচাকেনাও। বিশেষ করে সাংসারিক বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনছেন মানুষ। তবে ফার্নিচারের দোকানগুলোতে ক্রেতা নেই। মাসব্যাপী স্টলে শুধু প্রদর্শনই হয়েছে। বিক্রি হয়নি তেমন। কারণ হিসাবে ক্রয়ে আগ্রহীদের অভিযোগ, দাম বেশি হাঁকানো হচ্ছে।
তবে সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, বাণিজ্য মেলা শুধু বিক্রির জন্য নয়, প্রদর্শনেও সফলতা আসে।
আখতার ফার্নিচারের কর্মকর্তা মিছির আলী বলেন, দর্শনার্থীদের কাছে পণ্যের দাম ও মডেল দেখানোর কাজটা হচ্ছে। এখানে বিক্রি হবে এমন আশা করা হয়নি। আমাদের পণ্যগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে ধারণা পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে। অর্ডারও পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে ‘কোটি টাকার খাট’ নিয়ে ফাতেমা এন্টারপ্রাইজের মালিক ও খাট প্রদর্শনকারী নুর নবী বলেন, আমাদের খাট আবু বকর নামে একজন মিস্ত্রি ৩ বছরের চেষ্টায় তৈরি করেছেন। এখানে ভালোমানের সেগুন কাঠের মূল অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে এর দাম কোটি টাকা চেয়েছি। এ পর্যন্ত মেলায় ৫৫ লাখ টাকা দাম ওঠেছে। কিন্তু আমরা দেইনি। দাম আরও কিছু বাড়ালে ছেড়ে দেব। মেলার বাকি দুদিনে এই খাট কেউ কিনবেন কিনা তা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে। তবে আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মানুষ জানতে পারল এটাও বড় পাওয়া।