কৃষিজমির মাটি বিক্রি করায় একজনকে কারাদণ্ড, দুইজনকে অর্থদণ্ড
ফরিদপুরের সালথায় সোনালী আশ পাট, পেঁয়াজ ও আমন ধানের জমির উর্বর মাটি কেটে পুকুর খনন এবং মাটি বিক্রি করা নিয়ে যুগান্তরসহ বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে একজনকে কারাদণ্ড ও দুইজনকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।এ সময় দুটি ভেকু মেশিনও আটক করা হয়েছে।
রোববার বিকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সালাউদ্দীন আইয়ুবী।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. সালাউদ্দীন আইয়ুবী বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে তা ইটভাটায় বিক্রির সংবাদ পেয়ে বল্লভদী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ফসলি জমির উর্বর মাটি কেটে বিক্রির অপরাধে নাসির উদ্দীন নামে এক মাটি ব্যবসায়ীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া একই অপরাধে ইদু শেখ নামে আরেক মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার, জলিল শেখ নামে একজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি ভেকু মেশিন আটক করে সংশ্লষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন শাহিন বলেন, চলমান বিশ্ব পরিস্থিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কাটার ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। এ বিষয় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কৃষি সমৃদ্ধ উপজেলা বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই কৃষিজমি ধ্বংস করে পুকুর তৈরি বা মাটি বিক্রির সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, সালথা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সোনালী আশ পাট, পেঁয়াজ ও আমন ধানের জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আর এসব মাটি বিক্রি করা হতো ইটভাটায়। আবার অনেকে বাড়ির ভিটা তৈরির জন্য মাটি কিনে নেন। এতে দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বিলীন হতে শুরু করেছে কৃষিজমি। ভূমি আইন অমান্য করে অবাধে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করেই চলছে অসাধু মাটিখেকো ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে রোববার দুপুরে যুগান্তরসহ বিভিন্ন অনলাইনে ‘সালথায় পাট-পেঁয়াজের জমির মাটি কেটে পুকুর খনন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদটি প্রশাসনের নজরে এলে বিকালেই অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করা হয়।
কৃষিজমির মাটি বিক্রি করায় একজনকে কারাদণ্ড, দুইজনকে অর্থদণ্ড
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:১৫:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফরিদপুরের সালথায় সোনালী আশ পাট, পেঁয়াজ ও আমন ধানের জমির উর্বর মাটি কেটে পুকুর খনন এবং মাটি বিক্রি করা নিয়ে যুগান্তরসহ বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে একজনকে কারাদণ্ড ও দুইজনকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।এ সময় দুটি ভেকু মেশিনও আটক করা হয়েছে।
রোববার বিকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সালাউদ্দীন আইয়ুবী।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. সালাউদ্দীন আইয়ুবী বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে তা ইটভাটায় বিক্রির সংবাদ পেয়ে বল্লভদী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ফসলি জমির উর্বর মাটি কেটে বিক্রির অপরাধে নাসির উদ্দীন নামে এক মাটি ব্যবসায়ীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া একই অপরাধে ইদু শেখ নামে আরেক মাটি ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার, জলিল শেখ নামে একজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি ভেকু মেশিন আটক করে সংশ্লষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন শাহিন বলেন, চলমান বিশ্ব পরিস্থিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কাটার ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। এ বিষয় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কৃষি সমৃদ্ধ উপজেলা বিনির্মাণে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই কৃষিজমি ধ্বংস করে পুকুর তৈরি বা মাটি বিক্রির সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, সালথা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সোনালী আশ পাট, পেঁয়াজ ও আমন ধানের জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আর এসব মাটি বিক্রি করা হতো ইটভাটায়। আবার অনেকে বাড়ির ভিটা তৈরির জন্য মাটি কিনে নেন। এতে দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বিলীন হতে শুরু করেছে কৃষিজমি। ভূমি আইন অমান্য করে অবাধে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করেই চলছে অসাধু মাটিখেকো ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে রোববার দুপুরে যুগান্তরসহ বিভিন্ন অনলাইনে ‘সালথায় পাট-পেঁয়াজের জমির মাটি কেটে পুকুর খনন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদটি প্রশাসনের নজরে এলে বিকালেই অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023