১১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি চলাচল
jugantor
১১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি চলাচল

  গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি  

৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫৬:৩২  |  অনলাইন সংস্করণ

দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সোয়া ১১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। ঘন কুয়াশায় রোববার দিনগত রাত সোয়া ১১টায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে ঘাটের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, নৌরুটে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে ফেরি চলাচল। ফলে ফেরি কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে মাঝপথে তিনটি ফেরি নোঙর করতে বাধ্য হয়।

এদিকে দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধের কারণে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় মহাসড়কে প্রায় চার কিলোমিটারজুড়ে প্রায় চার শতাধিক বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। তীব্র শীত, কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে আটকে থাকা যাত্রী, চালক, সহকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হন।

যশোর থেকে ছেড়ে আসা কাঁচামালবাহী ট্রাকচালক রবিউল মীর জানান, তিনি রোববার রাত ১১টার পর ঘাটে এসে আটকে পড়েন। ফেরি বন্ধ থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে আছেন। সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।

বেনাপোল থেকে আসা তুহিন খান ও কামাল হোসেন নামের দুইজন কাভার্ডভ্যান চালক বলেন, ঘাটে শীতের মধ্যে সারা রাত আটকে থেকে অনেক দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। খাওয়া-দাওয়া ও প্রাকৃতিক কাজে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে।

অ্যাম্বুলেন্স চালক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি রাত ২টার দিকে ঘাটে এসে আটকা পড়েন। রোগী নিয়ে অনেক দুর্ভোগের শিকার হন। অত্যধিক জরুরি রোগীবাহী অনেক অ্যাম্বুলেন্স চালক পদ্মা সেতু ঘুরে ঢাকায় চলে গেছেন।

বিআইডব্লিউটিসির ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১১টি ফেরি চলাচল করছে। আশা করছি অচিরেই যানবাহনের সিরিয়াল কমে যাবে।

১১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি চলাচল

 গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি 
৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সোয়া ১১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। ঘন কুয়াশায় রোববার দিনগত রাত সোয়া ১১টায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে ঘাটের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, নৌরুটে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে ফেরি চলাচল। ফলে ফেরি কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় ঘন কুয়াশায় দিক হারিয়ে মাঝপথে তিনটি ফেরি নোঙর করতে বাধ্য হয়।

এদিকে দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধের কারণে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় মহাসড়কে প্রায় চার কিলোমিটারজুড়ে প্রায় চার শতাধিক বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। তীব্র শীত, কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে আটকে থাকা যাত্রী, চালক, সহকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হন।

যশোর থেকে ছেড়ে আসা কাঁচামালবাহী ট্রাকচালক রবিউল মীর জানান, তিনি রোববার রাত ১১টার পর ঘাটে এসে আটকে পড়েন। ফেরি বন্ধ থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে আছেন। সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। 

বেনাপোল থেকে আসা তুহিন খান ও কামাল হোসেন নামের দুইজন কাভার্ডভ্যান চালক বলেন, ঘাটে শীতের মধ্যে সারা রাত আটকে থেকে অনেক দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। খাওয়া-দাওয়া ও প্রাকৃতিক কাজে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে।
 
অ্যাম্বুলেন্স চালক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি রাত ২টার দিকে ঘাটে এসে আটকা পড়েন। রোগী নিয়ে অনেক দুর্ভোগের শিকার হন। অত্যধিক জরুরি রোগীবাহী অনেক অ্যাম্বুলেন্স চালক পদ্মা সেতু ঘুরে ঢাকায় চলে গেছেন।

বিআইডব্লিউটিসির ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১১টি ফেরি চলাচল করছে। আশা করছি অচিরেই যানবাহনের সিরিয়াল কমে যাবে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন