স্কুল শিক্ষার্থীর কান ফাটালেন প্রধান শিক্ষক
এবার থাপ্পড় মেরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর কান ফাটানো এবং একই সাথে ক্লাসের সব শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে যশোরের চৌগাছার মালিগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার যশোরের চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের মালিগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
পাশাপোল ইউপি চেয়ারম্যান অবাইদুল ইসলাম সবুজ জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় মারপিট ও অশোভন আচরণ করা এমনকি অভিভাবকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। রোববার শ্রেণিকক্ষের বাইরে যাওয়ায় ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর কানে তিনি থাপ্পড় দেন ও অশ্লীল গালিগালাজ করেন। ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্কুলের পাশের বাজারে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা কেন শ্রেণিকক্ষের বাইরে গেল- এ অভিযোগ তুলে সব শিক্ষার্থীকে তিনি মারপিট করেন। পরে অভিভাবকরা আমার কাছে এসে অভিযোগ করলে আমি মোবাইল ফোনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে (টিও) জানাই। এরপর তিনি স্কুলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রধান শিক্ষক তার স্কুলের অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। নারী সহকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় তিনি অশোভন আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। এর আগে এক নারী সহকর্মীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন। সেই সময় আর এমন করবেন না বলে তিনি ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোববার স্কুলের ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষের বাইরে বের হওয়ায় কোনো কারণ ছাড়াই ওই শিক্ষার্থীর কানে থাপ্পড় মারেন প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান। অভিভাবকরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি মোবাইল ফোনে আমাকে অবহিত করেন। অভিযোগ পেয়ে একজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে জানানো হলে তিনি এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। নির্দেশনার আলোকে সোমবার দুপুরে লিখিতভাবে প্রতিবেদন আকারে বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
স্কুল শিক্ষার্থীর কান ফাটালেন প্রধান শিক্ষক
এবার থাপ্পড় মেরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর কান ফাটানো এবং একই সাথে ক্লাসের সব শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে যশোরের চৌগাছার মালিগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার যশোরের চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের মালিগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
পাশাপোল ইউপি চেয়ারম্যান অবাইদুল ইসলাম সবুজ জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় মারপিট ও অশোভন আচরণ করা এমনকি অভিভাবকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। রোববার শ্রেণিকক্ষের বাইরে যাওয়ায় ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর কানে তিনি থাপ্পড় দেন ও অশ্লীল গালিগালাজ করেন। ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্কুলের পাশের বাজারে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা কেন শ্রেণিকক্ষের বাইরে গেল- এ অভিযোগ তুলে সব শিক্ষার্থীকে তিনি মারপিট করেন। পরে অভিভাবকরা আমার কাছে এসে অভিযোগ করলে আমি মোবাইল ফোনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে (টিও) জানাই। এরপর তিনি স্কুলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রধান শিক্ষক তার স্কুলের অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। নারী সহকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় তিনি অশোভন আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। এর আগে এক নারী সহকর্মীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন। সেই সময় আর এমন করবেন না বলে তিনি ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোববার স্কুলের ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষের বাইরে বের হওয়ায় কোনো কারণ ছাড়াই ওই শিক্ষার্থীর কানে থাপ্পড় মারেন প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান। অভিভাবকরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে তিনি বিষয়টি মোবাইল ফোনে আমাকে অবহিত করেন। অভিযোগ পেয়ে একজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে জানানো হলে তিনি এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। নির্দেশনার আলোকে সোমবার দুপুরে লিখিতভাবে প্রতিবেদন আকারে বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।