অনৈতিক কাজ দেখে ফেলায় দুই শিশুকে হত্যা, নারীর মৃত্যুদণ্ড
jugantor
অনৈতিক কাজ দেখে ফেলায় দুই শিশুকে হত্যা, নারীর মৃত্যুদণ্ড

  কুমিল্লা ব্যুরো  

৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:১০:১০  |  অনলাইন সংস্করণ

কুমিল্লায় পরকীয়া প্রেমে আসক্ত নারীর অনৈতিক কাজ দেখে ফেলার জেরে দুই শিশুকে হত্যার দায়ে ইয়াসমিন আক্তারকে (২৮) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় হত্যার কাজে সহযোগিতা করায় মাজেদা বেগম নামের আরেক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াসমিন আক্তার জেলার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর এলাকার বাবুল হোসেনের স্ত্রী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাজেদা বেগম একই এলাকার সেলিম মিয়ার স্ত্রী।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় পাশের বাড়ির মো. বিল্লাল হোসেনের ৬ বছর বয়সী ছেলে আরাফাতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ওই খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় একই এলাকার শাহ আলমের ৭ বছর বয়সী ছেলে জসিমকেও ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর লাশ খালে ফেলে দেন ওই নারী। এ কাজে ইয়াসমিনকে সহযোগিতা করেন চাচি শাশুড়ি মাজেদা।

পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়াসমিনকে আটক করে পুলিশে দেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ইয়াসমিনকে সহযোগিতা করে মামলার দ্বিতীয় আসামি হন মাজেদা বেগম। ঘটনার পর মাজেদা বেগম আত্মগোপন করে থাকেন।

এ ঘটনায় নিহত আরাফাতের বাবা বিল্লাল হোসেন মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিন ও মাজেদাসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত বছর র্যা ব-১১ মাজেদা বেগমকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

অনৈতিক কাজ দেখে ফেলায় দুই শিশুকে হত্যা, নারীর মৃত্যুদণ্ড

 কুমিল্লা ব্যুরো 
৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:১০ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

কুমিল্লায় পরকীয়া প্রেমে আসক্ত নারীর অনৈতিক কাজ দেখে ফেলার জেরে দুই শিশুকে হত্যার দায়ে ইয়াসমিন আক্তারকে (২৮) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় হত্যার কাজে সহযোগিতা করায় মাজেদা বেগম নামের আরেক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াসমিন আক্তার জেলার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর এলাকার বাবুল হোসেনের স্ত্রী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাজেদা বেগম একই এলাকার সেলিম মিয়ার স্ত্রী।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় পাশের বাড়ির মো. বিল্লাল হোসেনের ৬ বছর বয়সী ছেলে আরাফাতকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ওই খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় একই এলাকার শাহ আলমের ৭ বছর বয়সী ছেলে জসিমকেও ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর লাশ খালে ফেলে দেন ওই নারী। এ কাজে ইয়াসমিনকে সহযোগিতা করেন চাচি শাশুড়ি মাজেদা।

পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়াসমিনকে আটক করে পুলিশে দেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ইয়াসমিনকে সহযোগিতা করে মামলার দ্বিতীয় আসামি হন মাজেদা বেগম। ঘটনার পর মাজেদা বেগম আত্মগোপন করে থাকেন।

এ ঘটনায় নিহত আরাফাতের বাবা বিল্লাল হোসেন মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিন ও মাজেদাসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত বছর র্যা ব-১১ মাজেদা বেগমকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন