উইঘুর মুসলিমদের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ
অনলাইন ডেস্ক
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:০৫:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে খুলনায় মানববন্ধন ও মিছিল সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্র ইউনিয়ন।
রোববার খুলনার রয়্যালের মোড়ে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদী মিছিল সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
খুলনা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জয় বৈদ্যের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি অর্চিস্মান দেবনাথ। বক্তব্য দেন জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হুজাইফা আল আমিন, মহানগরের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রুমি রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশটি উইঘুরের ঐতিহাসিক ঘুলজা গণহত্যা স্মরণে আয়োজন করা হয়। এ সময় উইঘুরদের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো হয়।
সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জয় বৈদ্য বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি ঘুলজা গণহত্যা দিবস। ১৯৯৭ সালের এই দিনে চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে আন্দোলন শুরু করলে দমন-পীড়ন করে সেখানকার সরকার। এতে বহু উইঘুর স্বাধীনতাকামীকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। জেলে ঢোকানো হয় হাজারও আন্দোলনকারীকে। স্বাধীনতাকামী উইঘুরদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন এখনো চলছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের দাবি অনুযায়ী- চীনের বন্দিশালায় বর্তমানে নারীসহ ১০ লাখ উইঘুর মুসলমান আটক আছেন। চীনে নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। বিশ্বের শোষিত এবং নিপীড়িত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘বিশ্বের বহু অংশে এখনো অবিচার ও নিপীড়ন চলছে। দুনিয়ার যেখানেই মজলুম মানুষ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবে, আমরা নিশ্চয়ই তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াব।’
জয় বৈদ্য আরও বলেন, নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী বিশ্বের প্রতিটি নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলবে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। মুক্তিকামী উইঘুর সংখ্যালঘুদের যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাষ্ট্র চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আমরা দাঁড়িয়েছি।
সংগঠনের সভাপতি অর্চিস্মান দেবনাথ বলেন, বিশ্বের সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ে আন্দোলন ও সংগ্রাম করে যাচ্ছে ছাত্র ইউনিয়ন। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘু উইঘুরদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। অবিলম্বে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। পূর্ব তুর্কিস্তান তথা উইঘুরদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চীন দূতাবাস ঘেরাওসহ দেশব্যাপী আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শিশুপার্কে গিয়ে শেষ হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
উইঘুর মুসলিমদের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে খুলনায় মানববন্ধন ও মিছিল সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্র ইউনিয়ন।
রোববার খুলনার রয়্যালের মোড়ে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদী মিছিল সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
খুলনা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জয় বৈদ্যের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি অর্চিস্মান দেবনাথ। বক্তব্য দেন জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হুজাইফা আল আমিন, মহানগরের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রুমি রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশটি উইঘুরের ঐতিহাসিক ঘুলজা গণহত্যা স্মরণে আয়োজন করা হয়। এ সময় উইঘুরদের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো হয়।
সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জয় বৈদ্য বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি ঘুলজা গণহত্যা দিবস। ১৯৯৭ সালের এই দিনে চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে আন্দোলন শুরু করলে দমন-পীড়ন করে সেখানকার সরকার। এতে বহু উইঘুর স্বাধীনতাকামীকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। জেলে ঢোকানো হয় হাজারও আন্দোলনকারীকে। স্বাধীনতাকামী উইঘুরদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন এখনো চলছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের দাবি অনুযায়ী- চীনের বন্দিশালায় বর্তমানে নারীসহ ১০ লাখ উইঘুর মুসলমান আটক আছেন। চীনে নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। বিশ্বের শোষিত এবং নিপীড়িত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘বিশ্বের বহু অংশে এখনো অবিচার ও নিপীড়ন চলছে। দুনিয়ার যেখানেই মজলুম মানুষ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবে, আমরা নিশ্চয়ই তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াব।’
জয় বৈদ্য আরও বলেন, নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী বিশ্বের প্রতিটি নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলবে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। মুক্তিকামী উইঘুর সংখ্যালঘুদের যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাষ্ট্র চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আমরা দাঁড়িয়েছি।
সংগঠনের সভাপতি অর্চিস্মান দেবনাথ বলেন, বিশ্বের সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ে আন্দোলন ও সংগ্রাম করে যাচ্ছে ছাত্র ইউনিয়ন। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত সংখ্যালঘু উইঘুরদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। অবিলম্বে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। পূর্ব তুর্কিস্তান তথা উইঘুরদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চীন দূতাবাস ঘেরাওসহ দেশব্যাপী আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শিশুপার্কে গিয়ে শেষ হয়।