ট্রেনে গান গেয়ে চলে অন্ধ আরিফের সংসার
আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৪০:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
ট্রেনে গান গেয়ে চলে অন্ধ আরিফের পাঁচ সদস্যের সংসার। জন্মগতভাবে সে অন্ধ। ৩০ বছর থেকে ট্রেনে গান করে। ট্রেনের যাত্রীরা তার গান শুনে খুশি হয়ে যে, যা দেন, এতেই সে খুশি। কারো কাছে থেকে চেয়ে নেন না। এভাবে প্রতিদিন ২৫০-৩০০ টাকা আয় হয় তার।
আরিফ বাগমারা উপজেলার বীরকুৎসা গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।
আরিফ প্রতিদিন পার্বত্যপুর থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আপ এবং ডাউন উত্তরা ট্রেনে গান করে। তার সঙ্গে কথা হয় রোববার আড়ানী রেল স্টেশনে।
এ বিষয়ে আরিফ জানান, আমার পিতার বীরকুৎসা বাজারে ফুটপাতে একটি পান-সিগারেটের দোকান রয়েছে। মা আফিয়া বেগম ঝিয়ের কাজ করে। ছেলে সালমান হোসেন স্থানীয় স্কুলে নবম শ্রেণিকে লেখাপড়া করে। ট্রেনে গান গেয়ে যে আয় হয়, সেই টাকা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে।
আড়ানী রেল স্টেশনের উত্তরা ট্রেনের যাত্রী নাসির উদ্দিন বলেন, আরিফ ১০-১২ বছর বয়স থেকে উত্তরা ট্রেনে গান গায়। গান গেয়ে যে আয় হয়, তা দিলেই চলে তার সংসার।
উত্তরা ট্রেনের টিকিট পরিদর্শক আমির আহম্মেদ বলেন, সে গরীব মানুষ, কারো কাছে থেকে চেয়ে কোনো টাকা নেয় না, তার গান শুনে খুশি হয়ে যে, যা দেয়, সেটা নেয়। তবে তার কাছে থেকে কোন ভাড়া নেওয়া হয় না।
আড়ানী স্টেশন মাস্টার সদরুল হোসেন বলেন, অন্ধ আরিফকে অনেক দিন থেকে চিনি। সে অনেক দিন থেকে উত্তরা ট্রেনে একতার ও হাত ডুকি নিয়ে গান করে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ট্রেনে গান গেয়ে চলে অন্ধ আরিফের সংসার
ট্রেনে গান গেয়ে চলে অন্ধ আরিফের পাঁচ সদস্যের সংসার। জন্মগতভাবে সে অন্ধ। ৩০ বছর থেকে ট্রেনে গান করে। ট্রেনের যাত্রীরা তার গান শুনে খুশি হয়ে যে, যা দেন, এতেই সে খুশি। কারো কাছে থেকে চেয়ে নেন না। এভাবে প্রতিদিন ২৫০-৩০০ টাকা আয় হয় তার।
আরিফ বাগমারা উপজেলার বীরকুৎসা গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।
আরিফ প্রতিদিন পার্বত্যপুর থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আপ এবং ডাউন উত্তরা ট্রেনে গান করে। তার সঙ্গে কথা হয় রোববার আড়ানী রেল স্টেশনে।
এ বিষয়ে আরিফ জানান, আমার পিতার বীরকুৎসা বাজারে ফুটপাতে একটি পান-সিগারেটের দোকান রয়েছে। মা আফিয়া বেগম ঝিয়ের কাজ করে। ছেলে সালমান হোসেন স্থানীয় স্কুলে নবম শ্রেণিকে লেখাপড়া করে। ট্রেনে গান গেয়ে যে আয় হয়, সেই টাকা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে।
আড়ানী রেল স্টেশনের উত্তরা ট্রেনের যাত্রী নাসির উদ্দিন বলেন, আরিফ ১০-১২ বছর বয়স থেকে উত্তরা ট্রেনে গান গায়। গান গেয়ে যে আয় হয়, তা দিলেই চলে তার সংসার।
উত্তরা ট্রেনের টিকিট পরিদর্শক আমির আহম্মেদ বলেন, সে গরীব মানুষ, কারো কাছে থেকে চেয়ে কোনো টাকা নেয় না, তার গান শুনে খুশি হয়ে যে, যা দেয়, সেটা নেয়। তবে তার কাছে থেকে কোন ভাড়া নেওয়া হয় না।
আড়ানী স্টেশন মাস্টার সদরুল হোসেন বলেন, অন্ধ আরিফকে অনেক দিন থেকে চিনি। সে অনেক দিন থেকে উত্তরা ট্রেনে একতার ও হাত ডুকি নিয়ে গান করে।