খাটের উপর পড়ে ছিল দুই সন্তানের জননীর গলাকাটা লাশ
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:৪২:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
নড়াইলের লোহাগড়ায় শেফালী বেগম আন্না (৫০) নামের দুই সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাতে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘরে খাটের উপর তার লাশ পড়ে ছিল। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা বঁটি জব্দ করেছে।
জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের জাহাজের মাস্টার আলীম শেখের স্ত্রী শেফালী বেগম রোববার রাতে খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শেফালীর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে একই বাড়ির পাশের ঘরের দেবরের স্ত্রী পারুল বেগম ও দেবরের ছেলে আকাশ শেখ শেফালী বেগমকে ডাকাডাকি করতে থাকেন।
সাড়া না পেয়ে তারা শেফালীর ঘরের পেছনের একটি দরজা খোলা দেখে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা ঘরের মধ্যে খাটের উপর শেফালীর গলাকাটা লাশ এবং ঘরের মালামাল ও আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশী লোকজন এসে লোহাগড়া থানা পুলিশে খবর দেন।
শেফালীর স্বামী জাহাজ নিয়ে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। ছেলে মেহেদী হাসান পড়ালেখার জন্য ঢাকায় এবং মেয়ে নাহিদা আক্তার এলাকার একটি মাদ্রাসায় আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে সেখানে থেকে পড়ালেখা করেন।
শেফালীর দেবর আবেদ শেখ জানান, ভাবি তার ঘরে একাই থাকতেন। ঘরের মালামাল এলোমেলো দেখে ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাতনামা চোরেরা চুরি করার সময় চিনে ফেলার কারণে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
লোহাগড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জোর তদন্ত চলছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
খাটের উপর পড়ে ছিল দুই সন্তানের জননীর গলাকাটা লাশ
নড়াইলের লোহাগড়ায় শেফালী বেগম আন্না (৫০) নামের দুই সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাতে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘরে খাটের উপর তার লাশ পড়ে ছিল। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা বঁটি জব্দ করেছে।
জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের জাহাজের মাস্টার আলীম শেখের স্ত্রী শেফালী বেগম রোববার রাতে খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শেফালীর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে একই বাড়ির পাশের ঘরের দেবরের স্ত্রী পারুল বেগম ও দেবরের ছেলে আকাশ শেখ শেফালী বেগমকে ডাকাডাকি করতে থাকেন।
সাড়া না পেয়ে তারা শেফালীর ঘরের পেছনের একটি দরজা খোলা দেখে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা ঘরের মধ্যে খাটের উপর শেফালীর গলাকাটা লাশ এবং ঘরের মালামাল ও আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশী লোকজন এসে লোহাগড়া থানা পুলিশে খবর দেন।
শেফালীর স্বামী জাহাজ নিয়ে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। ছেলে মেহেদী হাসান পড়ালেখার জন্য ঢাকায় এবং মেয়ে নাহিদা আক্তার এলাকার একটি মাদ্রাসায় আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে সেখানে থেকে পড়ালেখা করেন।
শেফালীর দেবর আবেদ শেখ জানান, ভাবি তার ঘরে একাই থাকতেন। ঘরের মালামাল এলোমেলো দেখে ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাতনামা চোরেরা চুরি করার সময় চিনে ফেলার কারণে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
লোহাগড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জোর তদন্ত চলছে।