চাঞ্চল্যকর মামলায় তিনজনের ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:০১:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন ভূঁইয়া হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় তিনজনকে ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মধ্য ভাট্টা গ্রামের মৃত সিন্দু ভূঁইয়ার ছেলে মো. ফোরকান ভূঁইয়া (৪৮), একই এলাকার জমশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মো.শাহেদ ভূঁইয়া (৩৪) ও মো. এ্যাংগু ভূঁইয়া (৫৮)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন একই এলাকার জমশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মো. মোস্তফা ভূঁইয়া (৪৬)।
মামলা সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন ভূঁইয়া ভাট্টা নতুনবাজার থেকে প্রতিবেশী লোকজনের সঙ্গে বাড়িতে ফিরছিলেন। পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়ির উত্তর পাশে কাঁচা রাস্তায় পৌঁছলে ফোরকান ভূঁইয়ার লোকজন দা, লাঠি, ছুরি, চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে রফিকুলকে কুপিয়ে জখম করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ সেপ্টেম্বর তার (রতন ভূঁইয়া) মৃত্যু হয়।
নিহত রতন ভূঁইয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাচতো ভাই আনার ভূঁইয়া ৩০ আগস্ট কটিয়াদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মারা গেলে সেই মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলার তদন্ত শেষে কটিয়াদী মডেল থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক রাখাল দেবনাথ ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে আসামিদের নামে অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) জগেশ্বর রায় এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আজিজুল হক মিন্টু।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চাঞ্চল্যকর মামলায় তিনজনের ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন ভূঁইয়া হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় তিনজনকে ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা আদালত। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মধ্য ভাট্টা গ্রামের মৃত সিন্দু ভূঁইয়ার ছেলে মো. ফোরকান ভূঁইয়া (৪৮), একই এলাকার জমশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মো.শাহেদ ভূঁইয়া (৩৪) ও মো. এ্যাংগু ভূঁইয়া (৫৮)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন একই এলাকার জমশেদ ভূঁইয়ার ছেলে মো. মোস্তফা ভূঁইয়া (৪৬)।
মামলা সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন ভূঁইয়া ভাট্টা নতুনবাজার থেকে প্রতিবেশী লোকজনের সঙ্গে বাড়িতে ফিরছিলেন। পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়ির উত্তর পাশে কাঁচা রাস্তায় পৌঁছলে ফোরকান ভূঁইয়ার লোকজন দা, লাঠি, ছুরি, চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে রফিকুলকে কুপিয়ে জখম করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ সেপ্টেম্বর তার (রতন ভূঁইয়া) মৃত্যু হয়।
নিহত রতন ভূঁইয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাচতো ভাই আনার ভূঁইয়া ৩০ আগস্ট কটিয়াদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মারা গেলে সেই মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। মামলার তদন্ত শেষে কটিয়াদী মডেল থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক রাখাল দেবনাথ ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে আসামিদের নামে অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) জগেশ্বর রায় এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আজিজুল হক মিন্টু।