নিহত ৩ শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়াল যুগান্তর
jugantor
নিহত ৩ শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়াল যুগান্তর

  সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি  

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫০:২০  |  অনলাইন সংস্করণ

অন্যের বাড়িতে সারা দিন গাছ কেটে অথবা দিনমজুরির টাকায় সন্ধ্যায় চাল, ডাল ও নিত্যপণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতেন সিংড়া উপজেলার কলম পুণ্ডরী গ্রামের শ্রমিক আব্দুর রহিম, বিদ্যুৎ হোসেন ও কাঁচু প্রামাণিক। তার পর রাতে ওই পরিবারের চুলা জ্বলত। কিন্তু হঠাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে কাজে বের হয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের একসঙ্গে মৃত্যু হয়। কথা ছিল কাজ শেষে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরবেন।

তার পর রাতে চুলা জ্বলবে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে খাবার খাবেন। কিন্তু তাদের মৃত্যুতে ওই তিন পরিবারের মধ্যে শ্রমিক আব্দুর রহিম ও বিদ্যুৎ হোসেনের বাড়িতে কোনো খাবার নেই লোকমুখে খবর শুনে তাদের পাশে দাঁড়ালেন যুগান্তরের স্বজন সমাবেশ ও স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা।

মঙ্গলবার বিকালে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় নিহত শ্রমিক আব্দুর রহিমের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও বিদ্যুৎ হোসেনের স্ত্রী বিউটি বেগমের। উভয় পরিবার ভূমিহীন ও দিনমজুর। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। পরে সন্ধ্যায় যুগান্তরের স্বজন সমাবেশ ও স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র নিয়ে অসহায় তিনটি পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বজন সমাবেশের আহ্বায়ক হাশিবুল হাসান শিমুল, চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তর প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক শারফুল ইসলাম খোকন, কলম প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি সভাপতি অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, স্বজন সমাবেশের যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন আলম, আবু বকর সিদ্দিক, রিপন হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সোমবার গাছ কাটার কাজে যাওয়ার সময় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়ার জোলারবাতা এলাকার অটোভ্যান গাড়ির এক্সেল ভেঙে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

নিহত ৩ শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়াল যুগান্তর

 সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি 
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫০ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ

অন্যের বাড়িতে সারা দিন গাছ কেটে অথবা দিনমজুরির টাকায় সন্ধ্যায় চাল, ডাল ও নিত্যপণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতেন সিংড়া উপজেলার কলম পুণ্ডরী গ্রামের শ্রমিক আব্দুর রহিম, বিদ্যুৎ হোসেন ও কাঁচু প্রামাণিক। তার পর রাতে ওই পরিবারের চুলা জ্বলত। কিন্তু হঠাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে কাজে বের হয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের একসঙ্গে মৃত্যু হয়। কথা ছিল কাজ শেষে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। 

তার পর রাতে চুলা জ্বলবে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে খাবার খাবেন। কিন্তু তাদের মৃত্যুতে ওই তিন পরিবারের মধ্যে শ্রমিক আব্দুর রহিম ও বিদ্যুৎ হোসেনের বাড়িতে কোনো খাবার নেই লোকমুখে খবর শুনে তাদের পাশে দাঁড়ালেন যুগান্তরের স্বজন সমাবেশ ও স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা।

মঙ্গলবার বিকালে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় নিহত শ্রমিক আব্দুর রহিমের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও বিদ্যুৎ হোসেনের স্ত্রী বিউটি বেগমের। উভয় পরিবার ভূমিহীন ও দিনমজুর। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। পরে সন্ধ্যায় যুগান্তরের স্বজন সমাবেশ ও স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র নিয়ে অসহায় তিনটি পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বজন সমাবেশের আহ্বায়ক হাশিবুল হাসান শিমুল, চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তর প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক শারফুল ইসলাম খোকন, কলম প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি সভাপতি অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, স্বজন সমাবেশের যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন আলম, আবু বকর সিদ্দিক, রিপন হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সোমবার গাছ কাটার কাজে যাওয়ার সময় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়ার জোলারবাতা এলাকার অটোভ্যান গাড়ির এক্সেল ভেঙে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন