যুগান্তরের ২ যুগে পদার্পণ, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির ক্রেস্ট নিলেন তারই বাল্যবন্ধু
আখতারুজ্জামান আখতার, পাবনা
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:৫৮:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশর নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শুক্রবার দুপুরে পাবনায় দৈনিক যুগান্তরের ২ যুগে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতি সম্মিলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শুভাশিস দেন।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য যুগান্তরের ২ যুগে পদার্পণ উপলক্ষ্যেমো. সাহাবুদ্দিনকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়। রাষ্ট্রপতি সশরীরে উপস্থিত হতে না পারায় তার ইচ্ছায় তারই ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সভাপতি, পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, পাবনার শহিদ বুলবুল সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর শিবজিত নাগ অনুষ্ঠানে ক্রেস্টটি গ্রহণ করেন।
নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পাবনায়। পাবনায় স্নাতক পর্যন্ত পড়ালেখা এবং পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করেন মো. সাহাবুদ্দিন। এর আগে শিশুকাল, শৈশব, কৈশোরসহ রাজনীতির হাতে খড়ি পাবনায়। ১৯৭১ থেকে একটানা বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মো. সাহাবুদ্দিনের এখানে বেশ কয়েকজন বন্ধু সহপাঠী রয়েছেন। তারা সবাই সুশিক্ষিত এবং সুপ্রতিষ্ঠিত। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী, প্রফেসর শিবজিত নাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম প্রমুখ।
এসব বন্ধুর থেকে তিনি একটা দিনের জন্য যোগাযোগ বন্ধ করেননি। এমনকি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরও এসব বন্ধুদের সঙ্গে তোলা ফটো দিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি।
বন্ধুদের একজন পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শহিদ সরকারি বুলবুল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শিবজিত নাগ। মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার খবরে শিবজিত নাগ মিডিয়ার কাছে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জীবনে এর চেয়ে খুশির সংবাদ আমার কাছে আর দ্বিতীয়টি নাই। আজ পাবনাবাসী গর্বিত, আনন্দিত।
শুক্রবার পাবনায় যুগান্তরের ২ যুগে পদার্পণ উপলক্ষে যে প্রীতি সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয় সেটি নির্ধারিত ছিল এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে মো. সাহাবুদ্দিন সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর আর সশরীরে আসতে পারেননি।
এদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ মো. সাহাবুদ্দিনকে পাবনা যুগান্তর স্বজন সমাবেশের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারায় তারই প্রিয় বন্ধু শিবজিত নাগের হাতে ক্রেস্টটি হস্তান্তরের কথা বলেন তিনি। সে অনুযায়ী শুক্রবার পাবনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিদের কাছ থেকে ক্রেস্টটি শিবজিত নাগ গ্রহণ করেন এবং সুবিধাজনক সময়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে সেটি পৌঁছে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এই ক্রেস্ট হস্তান্তরের সময় পুরো হলরুমে এক অন্যরকম ভালোলাগার পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত: পাবনার কৃতী সন্তান মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালে। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি এবং যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক বাংলার বানীর পাবনা প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন বেশ কিছুদিন। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাবনার নগরবাড়ি ঘাটে ঐতিহাসিক মুজিব বাঁধ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করতে আসেন। ওই জনসভায় প্রথম বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধে নির্যাতিত নারীদেরকে বীরাঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
আর ঐতিহাসিক ওই জনসভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় ফেরার সময় মো. সাহাবুদ্দিনকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যান। সে সময় মো. সাহাবুদ্দিন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিনকে সেই থেকে পাবনার মানুষ জীবন্ত কিংবদন্তী বলে মনে করেন।
সম্প্রতি এ প্রতিনিধির কাছে সেই স্মৃতি মন্থন করে মো. সাহাবুদ্দিন আবেগ আপ্লুত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর মো. সাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করে ৩ বছর বিনাবিচারে কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সে সময় তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।
১৯৭১ সালে তিনি স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮২ সালে তিনি রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে বিসিএস (আইন) পাশ করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদ থেকে অবসর এর পর তাকে দুদক কমিশনার নিয়োগ করা হয়।
মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনোত্তর সহিংস ঘটনা তদন্তে গঠিত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ তিনি গত ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির দায়িত্ব পালন করে প্রশংসিত হন।
২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মো. সাহাবুদ্দিন দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচটি ইমাম ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান এবং এইচটি ইমাম মারা গেলে ওই পদে প্রথমবার তাকে নির্বাচিত করা হয়। সর্বশেষ দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যুগান্তরের ২ যুগে পদার্পণ, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির ক্রেস্ট নিলেন তারই বাল্যবন্ধু
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশর নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শুক্রবার দুপুরে পাবনায় দৈনিক যুগান্তরের ২ যুগে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতি সম্মিলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শুভাশিস দেন।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য যুগান্তরের ২ যুগে পদার্পণ উপলক্ষ্যে মো. সাহাবুদ্দিনকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেয়া হয়। রাষ্ট্রপতি সশরীরে উপস্থিত হতে না পারায় তার ইচ্ছায় তারই ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সভাপতি, পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, পাবনার শহিদ বুলবুল সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর শিবজিত নাগ অনুষ্ঠানে ক্রেস্টটি গ্রহণ করেন।
নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পাবনায়। পাবনায় স্নাতক পর্যন্ত পড়ালেখা এবং পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করেন মো. সাহাবুদ্দিন। এর আগে শিশুকাল, শৈশব, কৈশোরসহ রাজনীতির হাতে খড়ি পাবনায়। ১৯৭১ থেকে একটানা বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মো. সাহাবুদ্দিনের এখানে বেশ কয়েকজন বন্ধু সহপাঠী রয়েছেন। তারা সবাই সুশিক্ষিত এবং সুপ্রতিষ্ঠিত। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী, প্রফেসর শিবজিত নাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম প্রমুখ।
এসব বন্ধুর থেকে তিনি একটা দিনের জন্য যোগাযোগ বন্ধ করেননি। এমনকি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরও এসব বন্ধুদের সঙ্গে তোলা ফটো দিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি।
বন্ধুদের একজন পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শহিদ সরকারি বুলবুল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শিবজিত নাগ। মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার খবরে শিবজিত নাগ মিডিয়ার কাছে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জীবনে এর চেয়ে খুশির সংবাদ আমার কাছে আর দ্বিতীয়টি নাই। আজ পাবনাবাসী গর্বিত, আনন্দিত।
শুক্রবার পাবনায় যুগান্তরের ২ যুগে পদার্পণ উপলক্ষে যে প্রীতি সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয় সেটি নির্ধারিত ছিল এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে মো. সাহাবুদ্দিন সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর আর সশরীরে আসতে পারেননি।
এদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ মো. সাহাবুদ্দিনকে পাবনা যুগান্তর স্বজন সমাবেশের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারায় তারই প্রিয় বন্ধু শিবজিত নাগের হাতে ক্রেস্টটি হস্তান্তরের কথা বলেন তিনি। সে অনুযায়ী শুক্রবার পাবনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিদের কাছ থেকে ক্রেস্টটি শিবজিত নাগ গ্রহণ করেন এবং সুবিধাজনক সময়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে সেটি পৌঁছে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এই ক্রেস্ট হস্তান্তরের সময় পুরো হলরুমে এক অন্যরকম ভালোলাগার পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত: পাবনার কৃতী সন্তান মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালে। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি এবং যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক বাংলার বানীর পাবনা প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন বেশ কিছুদিন। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাবনার নগরবাড়ি ঘাটে ঐতিহাসিক মুজিব বাঁধ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করতে আসেন। ওই জনসভায় প্রথম বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধে নির্যাতিত নারীদেরকে বীরাঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
আর ঐতিহাসিক ওই জনসভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় ফেরার সময় মো. সাহাবুদ্দিনকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যান। সে সময় মো. সাহাবুদ্দিন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিনকে সেই থেকে পাবনার মানুষ জীবন্ত কিংবদন্তী বলে মনে করেন।
সম্প্রতি এ প্রতিনিধির কাছে সেই স্মৃতি মন্থন করে মো. সাহাবুদ্দিন আবেগ আপ্লুত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর মো. সাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করে ৩ বছর বিনাবিচারে কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সে সময় তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।
১৯৭১ সালে তিনি স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮২ সালে তিনি রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে বিসিএস (আইন) পাশ করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদ থেকে অবসর এর পর তাকে দুদক কমিশনার নিয়োগ করা হয়।
মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনোত্তর সহিংস ঘটনা তদন্তে গঠিত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ তিনি গত ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির দায়িত্ব পালন করে প্রশংসিত হন।
২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মো. সাহাবুদ্দিন দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচটি ইমাম ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান এবং এইচটি ইমাম মারা গেলে ওই পদে প্রথমবার তাকে নির্বাচিত করা হয়। সর্বশেষ দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।