চিলমারী-রৌমারী ফেরি সার্ভিস শুরু জুনে
jugantor
চিলমারী-রৌমারী ফেরি সার্ভিস শুরু জুনে

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি  

০২ মার্চ ২০২৩, ২২:৪০:২৫  |  অনলাইন সংস্করণ

চিলমারী

নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা অবশেষে দ্রুততম যোগাযোগের আওতায় আসছে। আগামী জুনে চিলমারী-রৌমারী ২১ কিলোমিটার রুটে ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হচ্ছে এ দুটি উপজেলার মানুষের।

বৃহস্পতিবার ফেরি চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই ও রুট পরির্দশন করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ করপোরেশনের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। তারা চিলমারী ও রৌমারী উভয় প্রান্তের ঘাট, সংযোগ সড়ক ও নাব্য যাচাই করেন। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির জেনারেল ম্যানেজার (মেরিন) হাসেমুর রহমান, পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেলুজ্জামান বিদ্যুৎ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আরিফ প্রমুখ।

সকালে রৌমারী প্রান্তে প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া কুড়িগ্রাম সফরে এসে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা পরিদর্শন করেন। এ সময় তার কাছে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চালুর বিষয়ে স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়। মুখ্য সচিব বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তার সফরসঙ্গী নৌপরিবহণ সচিব ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশনা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, ফেরি সার্ভিস চালু না থাকায় স্বাধীনতার পর থেকে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ নৌকাযোগে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দিয়ে জেলা সদরে এসে প্রশাসনিক, ব্যক্তিগত ও আদালত সংক্রান্ত কাজ করতেন; কিন্তু বন্যা ও ঝড়ে প্রবল ঝুঁকি এবং গ্রীষ্মকালে নাব্য সংকটে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। ব্যয় হয় প্রচুর সময়। বেশিরভাগ সময় কাজ শেষ করতে নৌকার অভাবে রাতযাপন করতে হয় কুড়িগ্রাম শহরে। ফেরি সার্ভিস চালু হলে চিলমারী-রৌমারী-রাজীবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে, যাতায়াত খরচও কমে যাবে।

বিআইডব্লিউটিসির জেনারেল ম্যানেজার (মেরিন) হাসেমুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নির্দেশে তারা ফেরি চলাচলের সব ধরনের কারিগরি দিক সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য এসেছেন। শিগগিরই এই রুটের নাব্য ধরে রাখতে ডেজিংসহ অন্যান্য কাজ করা হবে। পাশাপাশি দুই দিকের ঘাটের উন্নয়নও করা হবে।

নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেলুজ্জামান বিদ্যুৎ জানান, বর্তমানে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। তবে ডেজিংয়ের মাধ্যমে এ রুটের দৈর্ঘ্য ১৩-১৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের সময় ও অর্থ বাঁচবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘মূলত মুখ্য সচিব স্যারের নির্দেশনায় ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষে শিগগিরই ফেরি সার্ভিস চালু হবে।’

চিলমারী-রৌমারী ফেরি সার্ভিস শুরু জুনে

 কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 
০২ মার্চ ২০২৩, ১০:৪০ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
চিলমারী
চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি সার্ভিস। ছবি: যুগান্তর

নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা অবশেষে দ্রুততম যোগাযোগের আওতায় আসছে। আগামী জুনে চিলমারী-রৌমারী ২১ কিলোমিটার রুটে ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হচ্ছে এ দুটি উপজেলার মানুষের।

বৃহস্পতিবার ফেরি চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই ও রুট পরির্দশন করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ করপোরেশনের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। তারা চিলমারী ও রৌমারী উভয় প্রান্তের ঘাট, সংযোগ সড়ক ও নাব্য যাচাই করেন। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির জেনারেল ম্যানেজার (মেরিন) হাসেমুর রহমান, পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেলুজ্জামান বিদ্যুৎ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আরিফ প্রমুখ।

সকালে রৌমারী প্রান্তে প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া কুড়িগ্রাম সফরে এসে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা পরিদর্শন করেন। এ সময় তার কাছে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চালুর বিষয়ে স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়। মুখ্য সচিব বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তার সফরসঙ্গী নৌপরিবহণ সচিব ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশনা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, ফেরি সার্ভিস চালু না থাকায় স্বাধীনতার পর থেকে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ নৌকাযোগে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দিয়ে জেলা সদরে এসে প্রশাসনিক, ব্যক্তিগত ও আদালত সংক্রান্ত কাজ করতেন; কিন্তু বন্যা ও ঝড়ে প্রবল ঝুঁকি এবং গ্রীষ্মকালে নাব্য সংকটে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। ব্যয় হয় প্রচুর সময়। বেশিরভাগ সময় কাজ শেষ করতে নৌকার অভাবে রাতযাপন করতে হয় কুড়িগ্রাম শহরে। ফেরি সার্ভিস চালু হলে চিলমারী-রৌমারী-রাজীবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে, যাতায়াত খরচও কমে যাবে।

বিআইডব্লিউটিসির জেনারেল ম্যানেজার (মেরিন) হাসেমুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নির্দেশে তারা ফেরি চলাচলের সব ধরনের কারিগরি দিক সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য এসেছেন। শিগগিরই এই রুটের নাব্য ধরে রাখতে ডেজিংসহ অন্যান্য কাজ করা হবে। পাশাপাশি দুই দিকের ঘাটের উন্নয়নও করা হবে।

নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেলুজ্জামান বিদ্যুৎ জানান, বর্তমানে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। তবে ডেজিংয়ের মাধ্যমে এ রুটের দৈর্ঘ্য ১৩-১৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের সময় ও অর্থ বাঁচবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘মূলত মুখ্য সচিব স্যারের নির্দেশনায় ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষে শিগগিরই ফেরি সার্ভিস চালু হবে।’ 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন