কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ৩৮
ফরিদপুরে কুকুরের কামড়ে একদিনে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৮ জন আহত হয়েছেন।শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার কৈজুরি ও কানাইপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কানাইপুরের হলুদবাড়িয়া গ্রাম থেকে একটি কুকুর হঠাৎ ক্ষেপে গিয়ে যাকে সামনে পায় তাকেই কামড়াতে শুরু করে। ফুশরা, সাঁচিয়া, বিল নালিয়া, তাম্বুল খানা ও সবশেষে শোলাকুন্ডু গ্রামে কুকুরটি তাণ্ডব চালায়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কানাইপুরের শোলাকুন্ডু এলাকায় কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন এলাকাবাসী।
আহতরা হলেন- কানাইপুর ইউনিয়নের হলুদবাড়িয়া গ্রামের আবদুস সোবহানের স্ত্রী খালেদা (২৮), ফুসরা গ্রামের নাজমুল হোসেনের ছেলে সাব্বির (৪), সোবহান মিয়ার ছেলে ছেলে সাদ্দাম (৯), মানিক খানের ছেলে হামিম খান (৭), শোলাকুন্ডু গ্রামের আলমগীর কবিরের ছেলে সামিউল (৯), আবদুল আলীর মেয়ে তমা (২০), রানু বেগম (৬০), মামুনের মেয়ে জামিলা (৭), মাজেদের মেয়ে হাসি বেগম (৩৫), তাম্বুলখানা গ্রামের শামিমের মেয়ে সিনথিয়া (৬), সাচিয়া গ্রামের সেকেন শেখের মেয়ে সীমা (২৪), মোসলেমের মেয়ে মিম (২), বিলনালিয়া গ্রামের শওকতের ছেলে ফারদিন (৬)। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কানাইপুরের সোলাকুন্ডু গ্রামের মোহাম্মদ হাবিব শেখ ও মাজেদ মোল্যা জানান, হঠাৎ একটি লাল রঙের কুকুর যাকে সামনে পায় তাকেই কামড়িয়ে আহত করে। পরে এলাকাবাসী ধাওয়া করে কুকুরটিকে মেরে ফেলে।
এদিকে হাসি বেগম বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করছিলেন। কিছু বুঝে উঠার আগে হঠাৎ করে দৌড়ে এসে তাকে কুকুরে কামড় দিয়ে দৌড়ে চলে যায়। পরে তাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কৈজুরী ইউনিয়নের সাচিয়া গ্রামের বাসিন্দা আজগর আলী বলেন, কুকুরটি বেশ কয়েকজনকে কামড়িয়ে আহত করে। পরে তাদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কানাইপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন জানান, কানাইপুর ও পাশের ইউনিয়নের বিভিন্ন বয়সী প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে কুকুর কামড়ে আহত করে। তাতে সবার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক গণেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত নারী-শিশু-বৃদ্ধসহ ৩৮ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহতদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন থাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদানে কোনো সমস্যা হয়নি। আহতরা সবাই এখন শঙ্কা মুক্ত।
কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌরবাসী ও ইউনিয়নের মানুষ। কুকুরের উপদ্রব ও অত্যাচারে দিনের বেলা ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষের চলাফেরা করা কষ্টকর। এ নিয়ে পৌরবাসীসহ ইউনিয়নবাসীর রাতের ঘুম হারাম হয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত কুকুরের কামড়ে নারী-পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ আহত হচ্ছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ৩৮
ফরিদপুরে কুকুরের কামড়ে একদিনে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৮ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার কৈজুরি ও কানাইপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কানাইপুরের হলুদবাড়িয়া গ্রাম থেকে একটি কুকুর হঠাৎ ক্ষেপে গিয়ে যাকে সামনে পায় তাকেই কামড়াতে শুরু করে। ফুশরা, সাঁচিয়া, বিল নালিয়া, তাম্বুল খানা ও সবশেষে শোলাকুন্ডু গ্রামে কুকুরটি তাণ্ডব চালায়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কানাইপুরের শোলাকুন্ডু এলাকায় কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন এলাকাবাসী।
আহতরা হলেন- কানাইপুর ইউনিয়নের হলুদবাড়িয়া গ্রামের আবদুস সোবহানের স্ত্রী খালেদা (২৮), ফুসরা গ্রামের নাজমুল হোসেনের ছেলে সাব্বির (৪), সোবহান মিয়ার ছেলে ছেলে সাদ্দাম (৯), মানিক খানের ছেলে হামিম খান (৭), শোলাকুন্ডু গ্রামের আলমগীর কবিরের ছেলে সামিউল (৯), আবদুল আলীর মেয়ে তমা (২০), রানু বেগম (৬০), মামুনের মেয়ে জামিলা (৭), মাজেদের মেয়ে হাসি বেগম (৩৫), তাম্বুলখানা গ্রামের শামিমের মেয়ে সিনথিয়া (৬), সাচিয়া গ্রামের সেকেন শেখের মেয়ে সীমা (২৪), মোসলেমের মেয়ে মিম (২), বিলনালিয়া গ্রামের শওকতের ছেলে ফারদিন (৬)। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কানাইপুরের সোলাকুন্ডু গ্রামের মোহাম্মদ হাবিব শেখ ও মাজেদ মোল্যা জানান, হঠাৎ একটি লাল রঙের কুকুর যাকে সামনে পায় তাকেই কামড়িয়ে আহত করে। পরে এলাকাবাসী ধাওয়া করে কুকুরটিকে মেরে ফেলে।
এদিকে হাসি বেগম বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করছিলেন। কিছু বুঝে উঠার আগে হঠাৎ করে দৌড়ে এসে তাকে কুকুরে কামড় দিয়ে দৌড়ে চলে যায়। পরে তাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কৈজুরী ইউনিয়নের সাচিয়া গ্রামের বাসিন্দা আজগর আলী বলেন, কুকুরটি বেশ কয়েকজনকে কামড়িয়ে আহত করে। পরে তাদের ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কানাইপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন জানান, কানাইপুর ও পাশের ইউনিয়নের বিভিন্ন বয়সী প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে কুকুর কামড়ে আহত করে। তাতে সবার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক গণেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত নারী-শিশু-বৃদ্ধসহ ৩৮ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহতদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন থাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদানে কোনো সমস্যা হয়নি। আহতরা সবাই এখন শঙ্কা মুক্ত।
কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌরবাসী ও ইউনিয়নের মানুষ। কুকুরের উপদ্রব ও অত্যাচারে দিনের বেলা ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষের চলাফেরা করা কষ্টকর। এ নিয়ে পৌরবাসীসহ ইউনিয়নবাসীর রাতের ঘুম হারাম হয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত কুকুরের কামড়ে নারী-পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ আহত হচ্ছে।