বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
২০ মার্চ ২০২৩, ২২:৫৭:০৭ | অনলাইন সংস্করণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননার অভিযোগে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন- উপজেলার কাশীনাথপুর শহীদ নূরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তরিত কুমার কুন্ডু এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুব রহমান।
কাশীনাথপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও আওয়ামী লীগ নেতা এমএনএইচ জাকির হোসেন রোববার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি-৫ আদালতে মামলা করেন।
জানা যায়, গত ৩ ও ৪ মার্চ দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ওই কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত ‘উচ্ছ্বসিত সূবর্ণ’ নামে ম্যাগাজিনের কভার পৃষ্ঠায় স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বড় ছবিসহ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়। এরপরের পাতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তৃতীয় পাতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এলাকায়।
কলেজের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক এমএম শাহাবুদ্দিন টুটুল জানান, এতবড় ভুল মেনে নেওয়া যায় না। ম্যাগাজিনে কিভাবে বঙ্গবন্ধুর ছবির আগে একজন জামায়াত নেতার ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন ছাপা হলো? বিজ্ঞাপনের অধ্যায়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হয়েছে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর ছবি কি বিজ্ঞাপনের অন্তর্ভুক্ত? এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মজিবর রহমান মুকুল বলেন, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের উপযুক্ত বিচার দাবি জানাচ্ছি।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তরিত কুমার কুন্ডু বলেন, আমরা এত ভেবেচিন্তে কাজ করিনি। আমরা টাকার বিনিময়ে ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন ছেপেছি।
কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। আমি দেখেছি অনেক পরে। ম্যাগাজিন ছাপানোর আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে ম্যাগাজিনের বিষয়ে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেনি। এ বিষয়ে আমি খুবই মর্মাহত।
পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, বিষয়টি আমিও দেখেছি, এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনার জন্য অবশ্যই কলেজ কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে হবে।
উল্লেখ্য, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা, ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননার অভিযোগে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন- উপজেলার কাশীনাথপুর শহীদ নূরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তরিত কুমার কুন্ডু এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুব রহমান।
কাশীনাথপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও আওয়ামী লীগ নেতা এমএনএইচ জাকির হোসেন রোববার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি-৫ আদালতে মামলা করেন।
জানা যায়, গত ৩ ও ৪ মার্চ দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ওই কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত ‘উচ্ছ্বসিত সূবর্ণ’ নামে ম্যাগাজিনের কভার পৃষ্ঠায় স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বড় ছবিসহ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়। এরপরের পাতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তৃতীয় পাতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এলাকায়।
কলেজের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক এমএম শাহাবুদ্দিন টুটুল জানান, এতবড় ভুল মেনে নেওয়া যায় না। ম্যাগাজিনে কিভাবে বঙ্গবন্ধুর ছবির আগে একজন জামায়াত নেতার ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন ছাপা হলো? বিজ্ঞাপনের অধ্যায়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হয়েছে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর ছবি কি বিজ্ঞাপনের অন্তর্ভুক্ত? এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মজিবর রহমান মুকুল বলেন, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের উপযুক্ত বিচার দাবি জানাচ্ছি।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তরিত কুমার কুন্ডু বলেন, আমরা এত ভেবেচিন্তে কাজ করিনি। আমরা টাকার বিনিময়ে ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন ছেপেছি।
কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। আমি দেখেছি অনেক পরে। ম্যাগাজিন ছাপানোর আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে ম্যাগাজিনের বিষয়ে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেনি। এ বিষয়ে আমি খুবই মর্মাহত।
পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, বিষয়টি আমিও দেখেছি, এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনার জন্য অবশ্যই কলেজ কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে হবে।
উল্লেখ্য, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।