ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী
jugantor
ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

  সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি  

২১ মার্চ ২০২৩, ২২:১৪:৫৮  |  অনলাইন সংস্করণ

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মঙ্গলবার পুলিশ মূলহোতা রুহুলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রুহুল পার্শ্ববর্তী মানিকনগর গ্রামের টুকু বেপারীর পুত্র। ভিকটিমের পৈতৃক বাড়ি রংপুর হলেও প্রায় দুই বছর যাবত ওই এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের হালিম বেপারীর মাঠে ১৬ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফিরছিলেন ভিকটিম। এ সময় রাস্তায় ওতপেতে থাকা রুহুল তার বন্ধু সবুজ, রোমান ও মহসিনের সহায়তায় বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে তার খালা ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন। এ সময় ধর্ষক ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

এদিকে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে কয়েক দফায় মীমাংসার চেষ্টা করে স্থানীয় মাতবররা। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের দাবি জানালেও ধর্ষক রুহুলের পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে। অবশেষে সোমবার রাতে সিংগাইর থানায় মামলা করা হলে পুলিশ মূলহোতা রুহুলকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিংগাইর থানার শান্তিপুর (বাঘুলি) তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আবদুস ছালাম বলেন, মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

 সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি 
২১ মার্চ ২০২৩, ১০:১৪ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মঙ্গলবার পুলিশ মূলহোতা রুহুলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রুহুল পার্শ্ববর্তী মানিকনগর গ্রামের টুকু বেপারীর পুত্র। ভিকটিমের পৈতৃক বাড়ি রংপুর হলেও প্রায় দুই বছর যাবত ওই এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের হালিম বেপারীর মাঠে ১৬ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফিরছিলেন ভিকটিম। এ সময় রাস্তায় ওতপেতে থাকা রুহুল তার বন্ধু সবুজ, রোমান ও মহসিনের সহায়তায় বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে তার খালা ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন। এ সময় ধর্ষক ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

এদিকে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে কয়েক দফায় মীমাংসার চেষ্টা করে স্থানীয় মাতবররা। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের দাবি জানালেও ধর্ষক রুহুলের পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে। অবশেষে সোমবার রাতে সিংগাইর থানায় মামলা করা হলে পুলিশ মূলহোতা রুহুলকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিংগাইর থানার শান্তিপুর (বাঘুলি) তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আবদুস ছালাম বলেন, মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন