চৈত্রে পৌষের আমেজ!
রংপুর নগরীসহ জেলায় চৈত্র মাসে পৌষের আবহাওয়া বিরাজ করছে। মেঘলা আকাশ এনে দিয়েছে শীতের আমেজ। তিন দিনে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে গেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। যারা শীতকে বিদায় জানিয়ে লেপ কিংবা কম্বল তুলে রেখেছিলেন তাদের অনেকেই রাতে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছেন।
দিনের বেলা অনেকে হাফহাতা জামার পরিবর্তে ফুলহাতা জামা পরছেন। এতে জ্বর-সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সি মানুষ।
এদিকে দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময় পর রংপুর নগরীসহ এ অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। গত তিন দিন ধরে অব্যাহতভাবে হালকা বৃষ্টিপাতও হয়েছে। এতে বোরো ধান চাষিরা খুশি হলেও চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আলু চাষিরা। কারণ অনেকেই এখনও আলু উত্তোলন করতে পারেননি। কেউ কেউ উত্তোলন শুরু করেছেন। এর ফলে আলু পচে লোকসানে পড়তে পারেন বলেও চাষিরা আশঙ্কা করেছেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০ মার্চ তা কমে দাঁড়ায় ২২ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছিল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।
গত ৪ মাস রংপুরে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড শূন্যের কোঠায় ছিল। তবে রংপুরে গত রোববার ভোর ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৬ মিলিমিটার এবং সোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
কবি বাদল রহমানসহ কয়েকজন বলেন, চৈত্র মাসে এ ধরনের আবহাওয়া তিনি কখনো দেখেননি। এ মাসে সাধারণত কাঠফাটা রোদ থাকে কিন্তু এসবের কিছুই নেই। বরং শীত অনুভূত হচ্ছে। এটা প্রকৃতির বিচিত্র খেয়াল বলে তিনি মন্তব্য করেন। তার মতো অনেকেই একই মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মার্চ মাসে সাধারণত এমন আবহাওয়া থাকে না। এরকম আবহাওয়া একটু ব্যতিক্রমই বলা চলে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় শীত অনুভূত হচ্ছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চৈত্রে পৌষের আমেজ!
রংপুর নগরীসহ জেলায় চৈত্র মাসে পৌষের আবহাওয়া বিরাজ করছে। মেঘলা আকাশ এনে দিয়েছে শীতের আমেজ। তিন দিনে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে গেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। যারা শীতকে বিদায় জানিয়ে লেপ কিংবা কম্বল তুলে রেখেছিলেন তাদের অনেকেই রাতে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছেন।
দিনের বেলা অনেকে হাফহাতা জামার পরিবর্তে ফুলহাতা জামা পরছেন। এতে জ্বর-সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সি মানুষ।
এদিকে দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময় পর রংপুর নগরীসহ এ অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। গত তিন দিন ধরে অব্যাহতভাবে হালকা বৃষ্টিপাতও হয়েছে। এতে বোরো ধান চাষিরা খুশি হলেও চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আলু চাষিরা। কারণ অনেকেই এখনও আলু উত্তোলন করতে পারেননি। কেউ কেউ উত্তোলন শুরু করেছেন। এর ফলে আলু পচে লোকসানে পড়তে পারেন বলেও চাষিরা আশঙ্কা করেছেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০ মার্চ তা কমে দাঁড়ায় ২২ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছিল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ থেকে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।
গত ৪ মাস রংপুরে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড শূন্যের কোঠায় ছিল। তবে রংপুরে গত রোববার ভোর ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৬ মিলিমিটার এবং সোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
কবি বাদল রহমানসহ কয়েকজন বলেন, চৈত্র মাসে এ ধরনের আবহাওয়া তিনি কখনো দেখেননি। এ মাসে সাধারণত কাঠফাটা রোদ থাকে কিন্তু এসবের কিছুই নেই। বরং শীত অনুভূত হচ্ছে। এটা প্রকৃতির বিচিত্র খেয়াল বলে তিনি মন্তব্য করেন। তার মতো অনেকেই একই মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মার্চ মাসে সাধারণত এমন আবহাওয়া থাকে না। এরকম আবহাওয়া একটু ব্যতিক্রমই বলা চলে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় শীত অনুভূত হচ্ছে।