মেয়ের মুখে বাবা ডাক শোনা হলো না শাহীনের
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
২১ মার্চ ২০২৩, ২২:৪০:২২ | অনলাইন সংস্করণ
পর্তুগালে দেওয়ালচাপায় মারা গেছেন মৌলভীবাজারের শাহীন আহমেদ (৪৭)। সোমবার পর্তুগালের কৃষি ও পর্যটন শহর বেজায়ে কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় দেওয়াল চাপা পড়ে তিনি মারা যান।
শাহীন আহমেদ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোকামবাজার এলাকার নিতেশ্বর গ্রামের আরশদ মোল্লার ছেলে। পাঁচ ভাই আর তিন বোনের মধ্যে শাহীন তৃতীয়। শাহীন ২০২১ সালে কাতার যান। সেখান থেকে পরবর্তীতে চলে যান পর্তুগাল।
এদিকে শাহীনের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। মৃত শাহীনের ২ বছরের রাইছা ও ৮ বছরের মিন্নি নামে দুইজন কন্যাসন্তান রয়েছে। ছোট মেয়েকে ৩ মাস বয়সি রেখেই পর্তুগাল চলে যান শাহীন। রাইছা আব্বু ডাকার আগেই পর্তুগালে মারা গেলেন তিনি। বাবার মৃত্যুর কথা শোনার পর থেকেই রাইছার কান্না থামানো যাচ্ছে না। বাবার জন্য সে বারবার মূর্ছা যাচ্ছে।
জানা যায়, পর্তুগালের বেজায়ে কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় বাংলাদেশি শ্রমিক শাহীনের ওপর পুরাতন দেওয়াল ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জিএনআর পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ বেজার সেন্ট্রাল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিসবনসহ গোটা পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন বলেন, শাহীনের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মেয়ের মুখে বাবা ডাক শোনা হলো না শাহীনের
পর্তুগালে দেওয়ালচাপায় মারা গেছেন মৌলভীবাজারের শাহীন আহমেদ (৪৭)। সোমবার পর্তুগালের কৃষি ও পর্যটন শহর বেজায়ে কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় দেওয়াল চাপা পড়ে তিনি মারা যান।
শাহীন আহমেদ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোকামবাজার এলাকার নিতেশ্বর গ্রামের আরশদ মোল্লার ছেলে। পাঁচ ভাই আর তিন বোনের মধ্যে শাহীন তৃতীয়। শাহীন ২০২১ সালে কাতার যান। সেখান থেকে পরবর্তীতে চলে যান পর্তুগাল।
এদিকে শাহীনের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। মৃত শাহীনের ২ বছরের রাইছা ও ৮ বছরের মিন্নি নামে দুইজন কন্যাসন্তান রয়েছে। ছোট মেয়েকে ৩ মাস বয়সি রেখেই পর্তুগাল চলে যান শাহীন। রাইছা আব্বু ডাকার আগেই পর্তুগালে মারা গেলেন তিনি। বাবার মৃত্যুর কথা শোনার পর থেকেই রাইছার কান্না থামানো যাচ্ছে না। বাবার জন্য সে বারবার মূর্ছা যাচ্ছে।
জানা যায়, পর্তুগালের বেজায়ে কনস্ট্রাকশনের কাজ করার সময় বাংলাদেশি শ্রমিক শাহীনের ওপর পুরাতন দেওয়াল ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জিএনআর পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ বেজার সেন্ট্রাল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিসবনসহ গোটা পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন বলেন, শাহীনের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।