যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পূর্বধলার খালেক গ্রেফতার
jugantor
যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পূর্বধলার খালেক গ্রেফতার

  নেত্রকোনা প্রতিনিধি  

২৩ মার্চ ২০২৩, ২২:৪৬:১৭  |  অনলাইন সংস্করণ

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নেত্রকোনার পূর্বধলার আব্দুল খালেক তালুকদারকে (৭৩) পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের একটি দল অভিযান চালিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার আটিবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার আব্দুল খালেকের বাড়ি পূর্বধলা উপজেলার খারছাইল গ্রামে। খালেক তালুকদার একাত্তরে মুসলিম লীগের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরবর্তীতে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও পরে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

আব্দুল খালেক ১৯৭১ সালে অপর ছয়জন রাজাকার বাহিনী নিয়ে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বাড়হা গ্রামের আব্দুল খালেককে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর তার মরদেহ কংস নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মামলা করেন শহীদ আব্দুল খালেকের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির। ওই মামলার পলাতক আসামি ছিলেন আব্দুল খালেক। মামলার পর সাত বছর তিনি পলাতক ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনাল ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আব্দুল খালেকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এতে আব্দুল খালেকসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন এন্টি টেরোরিজম ইউনিট হেড কোয়াটারের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জিসান আহমেদ। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের আটিবাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পূর্বধলার খালেক গ্রেফতার

 নেত্রকোনা প্রতিনিধি 
২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নেত্রকোনার পূর্বধলার আব্দুল খালেক তালুকদারকে (৭৩) পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের একটি দল অভিযান চালিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার আটিবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার আব্দুল খালেকের বাড়ি পূর্বধলা উপজেলার খারছাইল গ্রামে। খালেক তালুকদার একাত্তরে মুসলিম লীগের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরবর্তীতে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও পরে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

আব্দুল খালেক ১৯৭১ সালে অপর ছয়জন রাজাকার বাহিনী নিয়ে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বাড়হা গ্রামের আব্দুল খালেককে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর তার মরদেহ কংস নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মামলা করেন শহীদ আব্দুল খালেকের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির। ওই মামলার পলাতক আসামি ছিলেন আব্দুল খালেক। মামলার পর সাত বছর তিনি পলাতক ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনাল ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আব্দুল খালেকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এতে আব্দুল খালেকসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন এন্টি টেরোরিজম ইউনিট হেড কোয়াটারের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জিসান আহমেদ। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের আটিবাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন