যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর ভূমি অফিসের চেইনম্যান বরখাস্ত
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:৩৭:২০ | অনলাইন সংস্করণ
ঘুস নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা ভূমি অফিসের চেইনম্যান বজলুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বজলুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, বজলুর রহমানের কর্মকাণ্ডে জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বজলুর রহমানের ঘুস নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, চেইনম্যান বজলুর রহমান এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে গুনছেন। টাকা গুনে শেষ করার পর হাসি মুখে পকেটে রাখছেন। অফিসের মধ্যে টেবিলে বসে ঘুস নেওয়ার ৩৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্র জানায়, নামজারি করার জন্য ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা নেওয়া হয় বাউফল ভূমি অফিসে। ঘুসের টাকা নিজ হাতে আদায় করেন চেইনম্যান বজলু। টাকা আদায় ও অফিসের সকল ফাইল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বজলুর রহমানকে। এর জন্য তাকে চেয়ার-টেবিলসহ একটি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) একান্ত আস্থাভাজন হিসেবেও বজলুর রহমানের পরিচিতি রয়েছে। স্বঘোষিত কর্মকর্তা বজলুর রহমানের দাপটের কাছে অসহায় অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা বলেন, নামজারি করার সকল ফাইল ও খরচ বজলুর কাছে দিতে হয়। ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরি হিসাব করে বজলু প্রতিটি ফাইলের জন্য ঘুস দাবি করেন। ঘুসের টাকা না দিলে নামজারি করা হয় না।
কয়েকদিন আগে বাউফলের অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহআলম ভূমি অফিসের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন করেন। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চেইনম্যান বজলুর রহমান বলেন, আমি কোনো ফাইলের দায়িত্বে নেই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর ভূমি অফিসের চেইনম্যান বরখাস্ত
ঘুস নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা ভূমি অফিসের চেইনম্যান বজলুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বজলুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, বজলুর রহমানের কর্মকাণ্ডে জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বজলুর রহমানের ঘুস নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, চেইনম্যান বজলুর রহমান এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে গুনছেন। টাকা গুনে শেষ করার পর হাসি মুখে পকেটে রাখছেন। অফিসের মধ্যে টেবিলে বসে ঘুস নেওয়ার ৩৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্র জানায়, নামজারি করার জন্য ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা নেওয়া হয় বাউফল ভূমি অফিসে। ঘুসের টাকা নিজ হাতে আদায় করেন চেইনম্যান বজলু। টাকা আদায় ও অফিসের সকল ফাইল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বজলুর রহমানকে। এর জন্য তাকে চেয়ার-টেবিলসহ একটি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) একান্ত আস্থাভাজন হিসেবেও বজলুর রহমানের পরিচিতি রয়েছে। স্বঘোষিত কর্মকর্তা বজলুর রহমানের দাপটের কাছে অসহায় অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা বলেন, নামজারি করার সকল ফাইল ও খরচ বজলুর কাছে দিতে হয়। ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরি হিসাব করে বজলু প্রতিটি ফাইলের জন্য ঘুস দাবি করেন। ঘুসের টাকা না দিলে নামজারি করা হয় না।
কয়েকদিন আগে বাউফলের অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহআলম ভূমি অফিসের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন করেন। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চেইনম্যান বজলুর রহমান বলেন, আমি কোনো ফাইলের দায়িত্বে নেই।