স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির ৪ নেতা আটক
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
২৬ মার্চ ২০২৩, ১৫:২০:২০ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে বিএনপি নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার সম্মুখীন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও বিএনপির চারজন নেতাকে আটক করে।
রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পৌর শহরের কাচারী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক নেতারা হলেন- উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ইমাম হোসেন আবু চান, পৌর বিএনপির আহবায়ক আতাউর রহমান, পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু সিদ্দিক ও গাঁওকান্দিদয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম।
বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের ধান মহাল এলাকায় শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কাচারীমোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। পরে নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পুলিশ ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমাম হোসেন আবু চানসহ চারজন নেতাকে পুলিশ আটক করে পুলিশ।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী যুগান্তরকে বলেন, ‘আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জনাতে রওনা হন। কিন্তু পুলিশ তাদের বাঁধা দিয়ে গুলি ছুড়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বিএনপির চারজন নেতাকে আটক করে। মহান স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ সম্পূর্ণভাবে অপেশাদারিত্বের কাজ করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ কখনো বিএনপিকে শ্রদ্ধা জানাতে বাধা দেয়নি। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং বিএনপির লোকজন তাদের দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়ে সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করে। এসময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর তারা ইটপাটকেল ছুড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়া হয়। আর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির ৪ নেতা আটক
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে বিএনপি নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার সম্মুখীন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও বিএনপির চারজন নেতাকে আটক করে।
রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পৌর শহরের কাচারী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক নেতারা হলেন- উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ইমাম হোসেন আবু চান, পৌর বিএনপির আহবায়ক আতাউর রহমান, পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু সিদ্দিক ও গাঁওকান্দিদয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম।
বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের ধান মহাল এলাকায় শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কাচারীমোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। পরে নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পুলিশ ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমাম হোসেন আবু চানসহ চারজন নেতাকে পুলিশ আটক করে পুলিশ।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী যুগান্তরকে বলেন, ‘আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জনাতে রওনা হন। কিন্তু পুলিশ তাদের বাঁধা দিয়ে গুলি ছুড়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বিএনপির চারজন নেতাকে আটক করে। মহান স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ সম্পূর্ণভাবে অপেশাদারিত্বের কাজ করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ কখনো বিএনপিকে শ্রদ্ধা জানাতে বাধা দেয়নি। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং বিএনপির লোকজন তাদের দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়ে সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করে। এসময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর তারা ইটপাটকেল ছুড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়া হয়। আর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।