মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ৬
jugantor
মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ৬

  নড়াইল প্রতিনিধি   

০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:০১:০৮  |  অনলাইন সংস্করণ

নড়াইলে মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই গ্রামের উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হন। পরে সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ আটক করে।

শনিবার তারাবিহ নামাজের পর রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের ঈদগাহ জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদরের শাহাবাদ ও মাইজপাড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের স্থানীয় মুসল্লিরা আলোকদিয়া ঈদগাহ জামে মসজিদে নামাজ পড়েন। মসজিদ কমিটির অনুমতি ব্যতিত কোষাধ্যক্ষ আমিনুর সিকদার মসজিদের দুটি পুরাতন সিলিং ফ্যান চার থেকে পাঁচ দিন আগে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন।

শনিবার রাতে তারাবির নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু দাউদ মোল্যা, কমিটির অনুমতি ব্যতিত কার নির্দেশে কেন সিলিং ফ্যান বিক্রি করা হয়েছে কোষাধ্যক্ষ আমিনুরের কাছে জানতে চান এবং সেই টাকার হিসাব দিতে বলেন। প্রতি উত্তরে আমিনুর তেমন কোনো সন্তুষ্টজনক উত্তর দিতে না পারায় সভাপতির সঙ্গে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়।

একপর্যায়ে মসজিদের সামনের রাস্তায় মসজিদ কমিটির সভাপতি সমর্থিত শাহাবাদ ইউনিয়নের আলোকদিয়া ও কোষাধ্যক্ষ সমর্থিত মাইজপাড়া ইউনিয়নের বোড়ামারা দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার জনকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখেন।

আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামের মৃত আবুল সিকদারের ছেলে ও মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ আমিনুর সিকদার, আলোকদিয়া গ্রামের মৃত নিছার উদ্দিন মোল্যার ছেলে ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু দাউদ মোল্যা, ইউনুচ মোল্যার ছেলে লিয়াকত মোল্যা ও আবুজার মোল্যার ছেলে মাবিবর হোসেন।

নড়াইল সদর থানার ওসি মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ৬

 নড়াইল প্রতিনিধি  
০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:০১ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

নড়াইলে মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই গ্রামের উভয় পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হন। পরে সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ আটক করে। 

শনিবার তারাবিহ নামাজের পর রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের ঈদগাহ জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদরের শাহাবাদ ও মাইজপাড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের স্থানীয় মুসল্লিরা আলোকদিয়া ঈদগাহ জামে মসজিদে নামাজ পড়েন। মসজিদ কমিটির অনুমতি ব্যতিত কোষাধ্যক্ষ আমিনুর সিকদার মসজিদের দুটি পুরাতন সিলিং ফ্যান চার থেকে পাঁচ দিন আগে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন। 

শনিবার রাতে তারাবির নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু দাউদ মোল্যা, কমিটির অনুমতি ব্যতিত কার নির্দেশে কেন সিলিং ফ্যান বিক্রি করা হয়েছে কোষাধ্যক্ষ আমিনুরের কাছে জানতে চান এবং সেই টাকার হিসাব দিতে বলেন। প্রতি উত্তরে আমিনুর তেমন কোনো সন্তুষ্টজনক উত্তর দিতে না পারায় সভাপতির সঙ্গে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। 

একপর্যায়ে মসজিদের সামনের রাস্তায় মসজিদ কমিটির সভাপতি সমর্থিত শাহাবাদ ইউনিয়নের আলোকদিয়া ও কোষাধ্যক্ষ সমর্থিত  মাইজপাড়া ইউনিয়নের বোড়ামারা দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার জনকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখেন। 

আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার  বোড়ামারা গ্রামের মৃত আবুল সিকদারের ছেলে ও মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ আমিনুর সিকদার, আলোকদিয়া গ্রামের মৃত নিছার উদ্দিন মোল্যার ছেলে ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু দাউদ মোল্যা, ইউনুচ মোল্যার ছেলে লিয়াকত মোল্যা ও আবুজার মোল্যার ছেলে মাবিবর হোসেন। 

নড়াইল সদর থানার ওসি মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন