ধুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা, শিক্ষার্থীদের হেনস্তা ও মারধর

 যুগান্তর প্রতিবেদন, পটুয়াখালী 
১০ মে ২০২৩, ১১:১১ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একটি ভবন
ছবি: যুগান্তর

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একটি ভবন দখল করে নিয়েছে স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দখলের পরপরই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং অন্যান্য শিক্ষকরা। 

এ সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজ ভবন থেকে শিক্ষার্থীরা বের হতে আপত্তি জানালে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের হাতে হেনস্তা ও মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিকের অন্তত ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীরা পাঠদানে অংশ নিতে পারেনি। 

ঘটনার পর প্রখর দাবদাহে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অসহায়ের মতো গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। কোনো কোনো শিক্ষার্থী নতুন ভবনের জানালার গ্রিল ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে ধুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা আকস্মিকভাবে এমন কাণ্ড ঘটায়। 

সংশ্লিষ্টরা বলেন, একই ক্যাম্পাসে ধুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। সম্প্রতি সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করে শিক্ষা প্রকৌশলী দপ্তর।  

ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাছুমা আক্তার বলেন, স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ রেজুলেশন করে আমাদের ভবন নির্মাণের সম্মতি দিয়েছেন। অথচ জোর করে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাইরে নামিয়ে দিয়ে বিদ্যালয় তালাবদ্ধ করে দিয়েছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষা জীবনের প্রথম ধাপে সিনিয়রদের হাতে আঘাতপ্রাপ্তটা কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মারাত্মকভাবে আহত করেছে। এমন কাজ সমাজ-সভ্যতাবিরোধী। 
 
স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম বলেন, সমঝোতার মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৫-৬শ শিক্ষার্থী রয়েছে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় পাঠদানের জন্য আমরা তাদের ভবনটি ব্যবহার করছি, দখল করিনি। 

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরও দুটো ভবন আছে। জায়গার সংকট নেই। আমাদের একাডেমিক ভবন নির্মাণ হলে আমরা আবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ছেড়ে দেব।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমিন সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে বলেন, প্রথমদিকে সমন্বয় না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে ভবন সংকটে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ, এমন তথ্য সঠিক নয়।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন