কেন্দ্রের ভেতরে দাঁড়িয়ে ছেলের প্রশ্নপত্র পড়ছিলেন শিক্ষক বাবা!
বড় ছেলে অংশ নিয়েছে এবারের দাখিল পরীক্ষায়। নিয়মানুযায়ী পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছিল চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মাহমুদুল উলুম (আলিয়া) মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুল আলমকে।
সন্তানের জন্য কি আর বাধা মানা যায়! কোনো বাধা না মেনেই পরীক্ষার কেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করে বারান্দার বাইরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রশ্নপত্র পড়ছিলেন ‘বাবা’ মনিরুল আলম। তবে বেশিক্ষণ পড়া হয়নি, হাতেনাতে ধরা পড়েন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে।
শুধু তিনি নন, একই দিনে সজীব কুমার দেবনাথ নামে আরেক শিক্ষক ধরা পড়েন অবৈধ অনুপ্রবেশে। তিনি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক বলে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি অপরাধ স্বীকার করে ইউএনওর কাছে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটানোর লিখিত অঙ্গীকার দিয়েছেন।
গত রোববার ৭ মে গণিত পরীক্ষার দিন এ ঘটনা ঘটে। তবে জানাজানি হয়েছে বুধবার।
এ ঘটনায় ওই দিনই সাতকানিয়া মাহমুদুল উলুম (আলিয়া) মাদ্রাসা কেন্দ্রের সচিব কেরানীহাট জামেউল উলুম ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান চৌধুরীকে দাখিল পরীক্ষার সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার সকালে সাতকানিয়া আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা। কেন্দ্রে প্রবেশ করেই তিনি মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুনিরুল আলমকে প্রশ্নপত্র হাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিক তিনি কেন্দ্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের তার উপস্থিতির কারণ জানতে চান। এ সময় তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, পরীক্ষা সংক্রান্ত বিধি বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের কারণে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুল আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পেলে তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কেন্দ্র সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন কেন্দ্র সচিব দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের ভেতরে দাঁড়িয়ে ছেলের প্রশ্নপত্র পড়ছিলেন শিক্ষক বাবা!
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
১১ মে ২০২৩, ২১:৩৪:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ
বড় ছেলে অংশ নিয়েছে এবারের দাখিল পরীক্ষায়। নিয়মানুযায়ী পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছিল চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মাহমুদুল উলুম (আলিয়া) মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুল আলমকে।
সন্তানের জন্য কি আর বাধা মানা যায়! কোনো বাধা না মেনেই পরীক্ষার কেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করে বারান্দার বাইরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রশ্নপত্র পড়ছিলেন ‘বাবা’ মনিরুল আলম। তবে বেশিক্ষণ পড়া হয়নি, হাতেনাতে ধরা পড়েন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে।
শুধু তিনি নন, একই দিনে সজীব কুমার দেবনাথ নামে আরেক শিক্ষক ধরা পড়েন অবৈধ অনুপ্রবেশে। তিনি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক বলে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি অপরাধ স্বীকার করে ইউএনওর কাছে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটানোর লিখিত অঙ্গীকার দিয়েছেন।
গত রোববার ৭ মে গণিত পরীক্ষার দিন এ ঘটনা ঘটে। তবে জানাজানি হয়েছে বুধবার।
এ ঘটনায় ওই দিনই সাতকানিয়া মাহমুদুল উলুম (আলিয়া) মাদ্রাসা কেন্দ্রের সচিব কেরানীহাট জামেউল উলুম ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান চৌধুরীকে দাখিল পরীক্ষার সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার সকালে সাতকানিয়া আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা। কেন্দ্রে প্রবেশ করেই তিনি মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুনিরুল আলমকে প্রশ্নপত্র হাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিক তিনি কেন্দ্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের তার উপস্থিতির কারণ জানতে চান। এ সময় তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, পরীক্ষা সংক্রান্ত বিধি বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের কারণে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুল আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পেলে তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কেন্দ্র সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন কেন্দ্র সচিব দেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023