প্রতিবেশীর ঘরে অচেতন অনাবৃত গৃহবধূ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রতিবেশীর ঘর থেকে অচেতন অবস্থায় এক গৃহবধূকে (২৬) উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গৃহবধূ অনাবৃত অবস্থায় ঘরে পড়ে ছিলেন। তাকে প্রতিবেশী তরুণ সাধন কর্মকার (২২) মুখে কাপড় দিয়ে অচেতন করে ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। এ নিয়ে গোদাগাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভোররাতে উপজেলার পিরিজপুর বাগানপাড়া গ্রামে সাধন কর্মকারের ঘর থেকে প্রতিবেশীরা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। তখন এলাকাবাসী সাধন কুমারকে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আর চিকিৎসার জন্য ওই গৃহবধূকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে ওই গৃহবধূর স্বামীর ঘুম ভাঙে। এ সময় তিনি স্ত্রীকে না দেখে খোঁজখুঁজি শুরু করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের লোকজনও খুঁজতে থাকেন ওই গৃহবধূকে। রাত ৪টার দিকে ওই গৃহবধূর বাড়ির সামনে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যান কিন্তু প্রতিবেশী সাধন কর্মকার ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। রাত ৪টার সময় তিনি ঘরে উচ্চশব্দে গান বাজাচ্ছিলেন। তখন এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
এলাকার লোকজন তাকে ডেকে ওই গৃহবধূর ব্যাপারে জানতে চাইলে সাধন কিছুই জানেন না বলে জানান। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় তারা সাধনের ঘর তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেন। ওই গৃহবধূর খালা প্রথমে ঘরে ঢুকে দেখেন, অনাবৃত শরীরে অচেতন অবস্থায় গৃহবধূ পড়ে আছেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন সাধন কর্মকারকে গণপিটুনি দিয়ে ধরে রাখেন। পরে পুলিশ ডেকে সাধন, তার বাবা সন্তোষ কর্মকার ও মা অঞ্জলী কর্মকারকে তুলে দেন। পরে দুপুরে ওই নারীর স্বামী সন্তোষ কর্মকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাধনের বাবা-মাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে গিয়ে তিনি ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই নারী তাকে জানিয়েছেন, রাতে বাথরুমে যাওয়ার জন্য তিনি বাড়ির বাইরে আসেন। তখন সাধন একটি কাপড় মুখে ধরে তাকে অচেতন করে দেন। এরপর তার আর কিছু মনে নেই।
রফিকুল ইসলাম জানান, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা তা জানতে হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, ওই গৃহবধূকে অপহরণের অভিযোগে আপাতত একটি মামলা করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষায় যদি ধর্ষণের বিষয়টি উঠে আসে, তাহলে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় সে ধারা যুক্ত হবে। বুধবার বিকালে আসামি সাধন কর্মকারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
প্রতিবেশীর ঘরে অচেতন অনাবৃত গৃহবধূ
রাজশাহী ব্যুরো
০৭ জুন ২০২৩, ২৩:৫০:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রতিবেশীর ঘর থেকে অচেতন অবস্থায় এক গৃহবধূকে (২৬) উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গৃহবধূ অনাবৃত অবস্থায় ঘরে পড়ে ছিলেন। তাকে প্রতিবেশী তরুণ সাধন কর্মকার (২২) মুখে কাপড় দিয়ে অচেতন করে ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। এ নিয়ে গোদাগাড়ী থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভোররাতে উপজেলার পিরিজপুর বাগানপাড়া গ্রামে সাধন কর্মকারের ঘর থেকে প্রতিবেশীরা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। তখন এলাকাবাসী সাধন কুমারকে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আর চিকিৎসার জন্য ওই গৃহবধূকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে ওই গৃহবধূর স্বামীর ঘুম ভাঙে। এ সময় তিনি স্ত্রীকে না দেখে খোঁজখুঁজি শুরু করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের লোকজনও খুঁজতে থাকেন ওই গৃহবধূকে। রাত ৪টার দিকে ওই গৃহবধূর বাড়ির সামনে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যান কিন্তু প্রতিবেশী সাধন কর্মকার ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। রাত ৪টার সময় তিনি ঘরে উচ্চশব্দে গান বাজাচ্ছিলেন। তখন এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
এলাকার লোকজন তাকে ডেকে ওই গৃহবধূর ব্যাপারে জানতে চাইলে সাধন কিছুই জানেন না বলে জানান। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় তারা সাধনের ঘর তল্লাশির সিদ্ধান্ত নেন। ওই গৃহবধূর খালা প্রথমে ঘরে ঢুকে দেখেন, অনাবৃত শরীরে অচেতন অবস্থায় গৃহবধূ পড়ে আছেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন সাধন কর্মকারকে গণপিটুনি দিয়ে ধরে রাখেন। পরে পুলিশ ডেকে সাধন, তার বাবা সন্তোষ কর্মকার ও মা অঞ্জলী কর্মকারকে তুলে দেন। পরে দুপুরে ওই নারীর স্বামী সন্তোষ কর্মকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাধনের বাবা-মাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে গিয়ে তিনি ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই নারী তাকে জানিয়েছেন, রাতে বাথরুমে যাওয়ার জন্য তিনি বাড়ির বাইরে আসেন। তখন সাধন একটি কাপড় মুখে ধরে তাকে অচেতন করে দেন। এরপর তার আর কিছু মনে নেই।
রফিকুল ইসলাম জানান, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা তা জানতে হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, ওই গৃহবধূকে অপহরণের অভিযোগে আপাতত একটি মামলা করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষায় যদি ধর্ষণের বিষয়টি উঠে আসে, তাহলে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় সে ধারা যুক্ত হবে। বুধবার বিকালে আসামি সাধন কর্মকারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023