যুবলীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ১১

 পাবনা প্রতিনিধি 
০৮ জুন ২০২৩, ১১:১৮ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
যুবলীগ
ফাইল ছবি

পাবনায় বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিএনপির অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে বিএনপি অভিযোগ করেছে সংঘর্ষ নয়, বিদ্যুৎ অফিসের সামনে কর্মসূচি পালন শেষে ফেরার পথে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর হামলা চালিয়েছে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন।

বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের পাওয়ার হাউসপাড়ার বিদ্যুৎ অফিসে দিকে রওনা হয়। কিন্তু পথে বড় ব্রিজের মাথায় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে নেতাকর্মীরা শান্ত হন। 
নেতাকর্মীরা বড় ব্রিজের পাশে ঘোড়া স্ট্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এদিকে একই সময়ে পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেলের নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষে ফেরার পথে লতিফ টাওয়ার সামনে আসলে ট্রাফিক মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর তারা হামলা চালালে ভয়াবহ সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টুসহ কমপক্ষে ১১ আহত হন।

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু বলেন, আমাদের শান্তিপুর্ণ কর্মসূচি চলছিল। এ সময় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতেই নারকীয় হামলা চালানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইয়ামিন খানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে হামলা করার বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, আমাদেরও শান্তি সমাবেশ চলছিল। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে আসার পথে নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে।  

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডিএম হাসিবুল বেনজীর বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের সমাবেশের সময় পাশ দিয়ে বিএনপি নেতাকমীরা যাওয়ার সময় একটা হট্টগোল হয়েছে। কোনো হামলা হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। আমরা তদন্তের পর জানাতে পারব।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন