স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার গৃহবধূ সাবিনা আক্তারকে (১৯) হত্যা মামলায় স্বামী সোহেল মিয়াকে (২৩) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এমএ আফজল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের পাগলশী এলাকার আলাল মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে সাবিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের সুখের জন্য বাবা আলাল মিয়া যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং ঘরের আসবাবপত্র কিনে দেন। এরপর যৌতুকের জন্য সাবিনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করলে ভ্যানগাড়ি ক্রয়ের জন্য সোহেল মিয়াকে আরও ২০ হাজার টাকা যৌতুক দেন সাবিনার পিতা। পরে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সাবিনা আক্তার। আর এ ঘটনার জের ধরে ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে বসতবাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জমিতে শ্বাসরোধে সাবিনাকে হত্যা করেন সোহেল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সাবিনার বাবা ইদ্রিস মিয়া স্বামী সোহেল মিয়া ও শাশুড়ি ফুলবানুকে অভিযুক্ত করে ইটনা থানায় মামলা করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট ইটনা থানার তৎকালীন পরিদর্শক মোহাম্মদ আহসান হাবিব এ মামলায় সোহেল মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জ ব্যুরো
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:১১:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার গৃহবধূ সাবিনা আক্তারকে (১৯) হত্যা মামলায় স্বামী সোহেল মিয়াকে (২৩) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এমএ আফজল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের পাগলশী এলাকার আলাল মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে সাবিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের সুখের জন্য বাবা আলাল মিয়া যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং ঘরের আসবাবপত্র কিনে দেন। এরপর যৌতুকের জন্য সাবিনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করলে ভ্যানগাড়ি ক্রয়ের জন্য সোহেল মিয়াকে আরও ২০ হাজার টাকা যৌতুক দেন সাবিনার পিতা। পরে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সাবিনা আক্তার। আর এ ঘটনার জের ধরে ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে বসতবাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জমিতে শ্বাসরোধে সাবিনাকে হত্যা করেন সোহেল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সাবিনার বাবা ইদ্রিস মিয়া স্বামী সোহেল মিয়া ও শাশুড়ি ফুলবানুকে অভিযুক্ত করে ইটনা থানায় মামলা করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট ইটনা থানার তৎকালীন পরিদর্শক মোহাম্মদ আহসান হাবিব এ মামলায় সোহেল মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023