ধর্ষণের পর হত্যা, ১৩ বছর পর স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০৮ পিএম
নাটোরে এক অজ্ঞাত পরিচয় নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে স্বামী বেলাল হোসেন (৩৭) ও স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে (২৭) ঘটনার ১৩ বছর পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি বেলাল হোসেন পলাতক থাকলেও জেসমিন খাতুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বেলাল হোসেন সদর উপজেলার উলুপুর এলাকার জব্বার আলীর ছেলে এবং বেলাল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন খাতুন একই উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে।
নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি নাটোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় নূর মোহাম্মদের আমবাগানে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। ওই লাশ উদ্ধার শেষে জব্দকৃত আলামতে জেসমিনের ছবি ও পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এতে সন্দেহজনকভাবে জেসমিন খাতুনকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে বেলাল হোসেন পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় নাটোর সদর থানার উপ-পরিদর্শক নুরুজ্জামান জেসমিন ও তার স্বামী বেলাল হোসেনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে দীর্ঘ ১৩ বছর পরে আদালতের বিচারক স্বামী বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। জরিমানার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতেও রায়ে বলা হয়।