ফজরের নামাজের জন্য ডাকায় শিক্ষককে পিটিয়ে জখম
যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে (২৫) পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন ও হাফেজ জিহাদ হোসেন। ওই সময় তার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক।
ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় সোমবার ভোরে। আহত শিক্ষককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
জানা গেছে, আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সব শিক্ষার্থীদের সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকেন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি। এতে ওই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন ও হাফেজ জিহাদ হোসেন ক্ষুব্ধ হয়। পরে তারা শিক্ষককে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এবং তার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এতে শিক্ষক রাফির কান বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা শিক্ষককে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জায়েদ আলম ইরাম শিক্ষক রাফিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনার পরপরই ছাত্ররা মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছে।
হাফেজ ইমাম হোসেনের বাড়ি উপজেলার হলদিয়ার রাওঘা গ্রামে। তার বাবার নাম মামুন মৃধা। অপর ছাত্র জিহাদ হোসেনের বাড়ি পটুয়াখালী উপজেলার আমখোলা গ্রামে।
উল্লেখ্য, এই দুই ছাত্র ওই মাদ্রাসা থেকে হাফেজি শেষ করে পুনরায় ষষ্ঠ (নাহবেমীর) শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।
আহত শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম হোসেন ও জিহাদ আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা ওরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি ওই ছাত্রদের শাস্তি দাবি করছি।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে দুই ছাত্র পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জায়েদ আলম ইরাম বলেন, আহত শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।