মেঘনায় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া গ্রুপ ও মেঘনা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক রমিজ উদ্দিন লন্ডনী গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বিআরটিসি মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টায় মেঘনা উপজেলার বিআরটিসি মোড়ে কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তব্য দেন; যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
পরবর্তীতে বেলা ১১টায় মেঘনা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. রমিজ উদ্দিন লন্ডনীর অনুসারীরা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিআরটিসি মোড়ে গেলে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি হয়। এ সময় শুরু হয় ধাওয়া পালটা ধাওয়া। উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে রমিজ উদ্দিন লন্ডনীর অনুসারী মেঘনা উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক ও মানিকারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমাদের পূর্বঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি ছিল। সকাল সাড়ে ৯টায় আমরা মানিকারচর বাজার হতে মিছিল নিয়ে বিআরটিসি মোড়ে যাওয়ার পথে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়াসহ তার লোকজন আমাদের বাধা দেয়। এ সময় আমরা প্রতিহত করি এবং আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্যার। স্যার দুবার মেঘনা থেকে নির্বাচন করেছেন। আমরা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্যারকেই নেতা মানি। স্যার যখন যে নির্দেশনা দেবেন আমরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব ইনশাআল্লাহ।
কতজন আহত হয়েছেন? জানতে চাইলে আতাউর রহমান বলেন, ধাওয়া পালটা ধাওয়ার সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া গ্রুপের মেঘনা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজহারুল হক শাহিন বলেন, আমাদের পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা মেঘনা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া ও ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মো. ওয়াদুদ মুন্সির নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করছিলাম। এমন সময় বিএনপি থেকে বারবার বহিষ্কৃত নেতা রমিজ উদ্দিন লন্ডনীর নেতৃত্বে আমাদের মানববন্ধনে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। এ সময় আমাদের ৮-১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মেঘনা থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত আছে।