টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হলেও স্থানীয়ভাবে সালিশ করা হয়। সেখানে কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য ধরা হয় ১ লাখ টাকা।

এদিকে মামলায় অভিযুক্ত আসামি সুমন খাঁকে (৩০) তিন মাস পর গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত সুমন খাঁকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর বুধবার আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

অভিযুক্ত সুমন উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের শালদাইর গ্রামের জয়নাল খাঁর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সুমন খাঁ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হলে কিশোরীর দুলাভাই বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের নেতৃত্বে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশে ইজ্জতের মূল্য হিসেবে ১ লাখ টাকা রায় দেন সালিশকারীরা। 

গোবিন্দাসী ইউপি পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি কয়েক মাস আগের। এ ব্যাপারে কয়েক দফা গ্রাম্য সালিশ হয়েছিল। সর্বশেষ ভুক্তভোগী পরিবারকে ১ লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়।

এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত ও সালিশকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি একেএম রেজাউল করিম বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি সুমন খাঁকে গ্রেফতার করে বুধবার টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।