প্রশাসনের বাধায়ও থামেনি বিএনপি নেতার অবৈধ বৈশাখী মেলা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম

শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলায় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে স্কুল মাঠে বৈশাখী মেলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মেলায় বসেছে জুয়ার আসর। পাশাপাশি উচ্চশব্দে বাজানো হচ্ছে গান। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। মেলা অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে স্বীকার করে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা বলেন, বন্ধ করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সেমাবার পহেলা বৈশাখে উপজেলার গরীবের চর
স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সাতদিন ব্যাপী মেলা শুরু হয়। মেলার উদ্বোধন করেন আলাওলপুর
ইউনিয়নের সাবেক যুবদলে সভাপতি বাবু ঢালী ও বিএনপির সাবেক সভাপতি রাসেল ঢালী। এ সময়
সেখানে উপস্থিত ছিলেন গোসাইরহাট থানার ওসি
মো.মাকসুদ আলমও। মঙ্গলবার দুপুরে মেলায় যান গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ। তিনি মেলাটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তবে এখনও চলছে সেই মেলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার জমে উঠে মেলা। বসে জুয়ার
আসর। সন্ধ্যা হলে মেলায় উচ্চশব্দে বাজানো হয় বাদ্যযন্ত্র। এতে করে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের
পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি মেলাকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারি ও মাদকসেবী কিশোরগ্যাংয়ের
আনাগোনা বেড়েছে বলে দাবি তাদের।
গরীবের চর স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. শামীম আহমেদ বলেন,
‘বাবু ঢালী আমার কাছে মাঠ ব্যবহারের জন্য আবেদন দিয়েছে। সে বলেছে, ইউওনর কাছ থেকে অনুমোদন
নিয়েছেন।’
মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সাবেক যুবদল নেতা বাবু ঢালী ও বিএনপি নেতা রাসেল
ঢালী বলেন, ‘আমরা ওসি সাহেবকে জানিয়েই মেলা চালাচ্ছি। তবে ইউএনও স্যার বলেছে মেলা বন্ধ
করতে। আমরা বন্ধ করে দিব।’
এদিকে বুধবার দুপুরে স্কুল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মেলার দোকানপাট বন্ধ
রয়েছে। দুই একটি দোকান খোলা রাখা হয়েছে। সেখানে আনাগোনা করছিল কয়েকজন শিশু। স্থানীয়
কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ইউএনও দোকান তুলে নিয়ে যেতে বলেছে। তবে তারা এখনও
দোকানপাট নিয়ে যায়নি। তাদের ধারণা, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ফের মেলার দোকান খোলা হবে।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ বলেন, ‘গরীবের চরে বৈশাখী মেলা উদযাপনের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়নি। আমি গতকাল তাদেরকে বলেছি মেলা বন্ধ করতে। যদি আবার মেলা চলে তাহলে ব্যাবস্থা হবে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গোসাইরহাট থানার ওসিকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।