Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক থেকে মির্জা আজমের এপিএসকে বরখাস্ত

Icon

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক থেকে মির্জা আজমের এপিএসকে বরখাস্ত

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রভাষক ইলিয়াস উদ্দিনকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ নূর হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আদেশ কার্যকর হয়।

গত ২২ এপ্রিল তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ নূর হোসেন চৌধুরী যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ বিষয়ে তাকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে- ইলিয়াস উদ্দিন গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে টানা ৬০ দিনেরও বেশি সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন এবং অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এক মাসের জন্য অনলাইনে ক্লাশ নেওয়ার আবেদন করেন; কিন্তু অসুস্থতার পক্ষে কোনো প্রমাণাদি পাঠাননি। ফলে তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(গ) ধারা অনুযায়ী ‘পলায়নের’ অভিযোগে অভিযুক্ত করে ১২(১) ধারা অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্তকালীন বিধিমোতাবেক তিনি শুধু খোরপোষ ভাতা পাবেন। একই সঙ্গে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও রাখা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এই ইলিয়াস উদ্দিনের পরিচয় শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নয়। তিনি জামালপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) ছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ইলিয়াস উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার মোমেনাবাদ এলাকায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রভাষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, তিনি মির্জা আজমের এপিএস থাকার সময় অঢেল টাকাপয়সার মালিক হন। তার যোগ্যতা না থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে চাকরি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ইলিয়াসের স্ত্রী আফসানা আক্তারকেও অ্যাডহক ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের আমলে এই দম্পতি ঠিকমতো ক্যাম্পাসে না এলেও কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ন্যূনতম ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো সাহস পায়নি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ইলিয়াসের কর্মস্থল মেলান্দহ হলেও অধিকাংশ সময় রাজধানী ঢাকায় থাকতেন।

অভিযোগ রয়েছে, কোনো শিক্ষক ভিন্নমত প্রকাশ করলে পদোন্নতি, অতিরিক্ত ক্লাশ, গবেষণা বরাদ্দ বন্ধসহ নানা হয়রানির শিকার হতেন। এমনকি ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে তাদের হুমকি দেওয়া হতো।

এসব বিষয়ে কথা বলতে ইলিয়াসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জামালপুর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম