৫ হাজার টাকায় অবৈধ জালসহ নৌকা ছাড়েন মৎস্য অফিসের সহকারী

বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

ভোলার বোরহানউদ্দিন মৎস্য অফিসের সহকারী বিধান চন্দ্র দের বিরুদ্ধে পাঁচ হাজার টাকায় অবৈধ জালসহ এক জেলেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মার্চ-এপ্রিল
মাসে বোরহান উদ্দিনের মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এ সময়
নদীতে মাছ ধরা বন্ধে অভিযান চালায় মৎস্য অধিদপ্তর।
গত ১২ এপ্রিল নদীতে অভিযান চালায় মৎস্য
অধিদপ্তর। ওই সময় একজন জেলেসহ নৌকা ও অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। পরে পাঁচ
হাজার টাকা ঘুসের বিনিময়ে অবৈধ জালসহ জেলেকে ছেড়ে দেন মৎস্য অফিসের সহকারী বিধান চন্দ্র
দে। এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড যুগান্তরের হাতে রয়েছে।
ওই অডিও রেকর্ডে এক দালালের সঙ্গে বিধান
চন্দ্র দে-কে কথা বলতে শোনা যায়। বিধান দালালকে বলেন, ‘ওই বেডা তোমার ফোন বন্ধ কেন।’
দালাল উত্তরে বলেন, ‘আপনি জালটা ছাড়েন না কেন। আপনারে কই নাই পাঁচ হাজার টাকা আমি
দিয়া দিমু।’ জবাবে বিধান বলেন, ‘তুমি কি পাঁচ হাজার টাকা পাইছো।’ প্রতিক্রিয়ায় দালাল
বলেন, ‘পাইছি। আমার থেকে আপনি নিয়ে যাবেন। এদিকে ডিউটি করবেন না। দক্ষিণ মিল গিয়ে
ডিউটি করেন। দূরে যাইয়া মরেন।’
অডিও রেকর্ডের বিষয়ে জানতে বিধানকে ফোন
দেওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ফোন কেটে দিয়ে মোবাইল
বন্ধ করে ফেলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা
মনোজ সাহা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। দেখি কী করা যায়।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন,
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কল রেকর্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি
বলেন, যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।