Logo
Logo
×

সারাদেশ

নিষেধাজ্ঞার ২৫ দিনেও চাল পায়নি তালতলীর জেলেরা

Icon

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১০:১০ এএম

নিষেধাজ্ঞার ২৫ দিনেও চাল পায়নি তালতলীর জেলেরা

ইলিশের বেড়ে ওঠা ও অন্য মাছের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতে সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর ১৫ এপ্রিল শুরু হয়েছে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ নিষেধাজ্ঞার ২৫ দিনেও ভিজিএফের (খাদ্য সহায়তা) চাল পায়নি বরগুনার তালতলী উপজেলার আট হাজার ৭৯৯ জন নিবন্ধিত জেলে। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এসব জেলে। কীভাবে সংসার চলবে, সেই দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।

জেলেরা বলছেন, বছরজুড়ে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সরকার নামমাত্র খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল দিলেও তা অধিকাংশ জেলেরা পায় না। আবার অনেকে জেলে না হয়েও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মদদপুষ্ঠ হয়ে চাল পেয়ে যায়। তবে এ বছর নিষেধাজ্ঞার ২৫ দিনেও চাল পায়নি কেউ।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবছরই সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দুই ধাপে ৮৬ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। সমুদ্রে মাছের উৎপাদন বাড়াতে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতো। তবে চলতি বছর জেলেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সঙ্গে সময় সমন্বয় করে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সাগরে সব ধরণের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।

সরেজমিনে ফকিরহাট উপ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ঘুরে দেখা যায়, সেখানে নোঙর করে রাখা হয়েছে শত শত নৌকা ও ফিশিং ট্রলার। ঘাটে নেই হাঁকডাক-কোলাহল। জেলেদের মধ্যে কেউ জাল বুনছেন কেউবা ঘাটে অলস সময় পার করছেন। কেউ আবার ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 

উপজেলার তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় জেলে আলতাফ হাওলাদার বলেন, ‘এ বছর ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় আমরা খুশি। তবে সরকারের বরাদ্দকৃত চাল এখনো পাইনি। প্রতি বছর নিষেধাজ্ঞার পর পরই আমরা চাল পেতাম। নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের কর্মসংস্থানের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। তাই এখন অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনো রকম দিন পার করছি।’

ট্রলার মালিক ও মৎস্য আড়ৎদার জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার তিন ট্রলারে ৩০ জন স্টাফ আছে। তারা অনেকেই ব্যাংকের ঋণে জর্জড়িত। মাছ ধরে তারপর ঋণ পরিশোধ করে। এখন সাগরে অবরোধ থাকায় তারা ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে জেলেদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এ জেলেদের চালটা দ্রুত দিয়ে দিলে কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট দূর হতো।’

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, ‘এ বছরের বরাদ্দ এখনও আমরা পাইনি। পেলেই জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হবে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, ‘ভিজিএফের চাল আসামাত্রই জেলেদের মাঝে দ্রুত বিতরণ করা হবে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম