চট্টগ্রামের পার্ক-সৈকতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম

ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে চট্টগ্রামে জমে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। নানা বয়সের বিনোদনপ্রেমী মানুষ এসব বিনোদন কেন্দ্রে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন।
ঈদের প্রথম দিন কম থাকলেও দ্বিতীয় দিন থেকে বাড়তে শুরু করে দর্শনার্থীদের চাপ। কেবল নগরী কিংবা আশপাশের এলাকা নয়, ঢাকাসহ দূর-দূরান্ত থেকেও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়েসলেক, চিড়িয়াখানা, সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী, মীরসরাইয়ের মহামায়াসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। তবে শিশুদের বেশিরভাগই ভিড় করেছে বিভিন্ন শপিংমলের কিডসজোনে।
রোববার সকাল থেকে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যাওয়া শুরু করে দর্শনার্থীরা। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে চড়ে সৈকতে যান তরুণ-যুবকরা। অনেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়েও বেড়াতে গেছেন। দুপুরের পর থেকে রীতিমতো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।
সৈকতের বালুচরে শিশু-কিশোরদের ছুটোছুটি, সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালী, ফুচকাওয়ালার হাঁকডাক, কাঁকড়া ভাজা, গরম পিঁয়াজুর স্বাদ-সব মিলিয়ে এ যেন এক অনন্য বিকাল।
গোধূলিবেলায় তরুণীদের সেলফি, পাথরে বসে তরুণদের গিটার বাজিয়ে গান আনন্দ সম্মিলনকে যেন ভিন্নমাত্রা দিয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত এমন চিত্র অব্যাহত রয়েছে সাগর-পাহাড়ঘেরা বন্দরনগরীর নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানগুলোর।
এদিকে দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই আছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ও পাহাড় ও হ্রদবেষ্টিত ফয়েসলেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কে। ঈদের দিন বিকাল থেকেই দর্শনার্থীদের প্রবেশ শুরু হয় চিড়িয়াখানা ও ফয়েসলেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কে। বিরল সাদা বাঘ, সিংহ, জলহস্তী, নানা জাতের পাখি দেখতে শিশু-কিশোরসহ সব বয়সি দর্শনার্থী ছিলেন।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ঈদের দিন বিকালে প্রায় দেড় হাজার দর্শনার্থী এসেছিল। তবে পরদিন রোববার ও সোমবার দুইদিনে ২৪ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৯ হাজারের মতো টিকিট।
অন্যদিকে পাহাড়ের বুক চিড়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারের আঁকাবাঁকা লেক, ওয়াটার পার্ক সি-ওয়ার্ল্ডের কৃত্রিম সমুদ্র, বেসক্যাম্প, অ্যামিউজমেন্ট পার্কের রাইড- সবখানেই মুখর ফয়েসলেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক। তবে সবচেয়ে বেশি সমাগম হয়েছে কৃত্রিম সমুদ্রে, যেখানে হাজারো নারী, পুরুষ, শিশু আনন্দে মেতেছিলেন। ডিজে গানের সঙ্গে তরুণ-তরুণীদের পানিতে দাপাদাপি, হই-হুল্লোড়ে দিনভর অন্যরকম আবহ তৈরি হয়।
কনকর্ড ফয়েসলেকের ব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ যুগান্তরকে বলেন, ঈদের পরদিন থেকে লোকজন আসতে শুরু করেছেন। রোববার থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে। কেবল নগরী নয়, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন। আশা করছি, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এমন সমাগম থাকবে।