ধারের ২০০ টাকা ফেরত না দেওয়ায় বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

ছবি : যুগান্তর
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মারুফ সরদার (১৯) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বন্ধুর বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে গত রোববার বিকালে গোসাইরহাটের চরধীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধারের টাকা নিয়ে এ
ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মারুফ উপজেলার চরধীপুর গ্রামের শহিদুল
সরদারের ছেলে। ঢাকার মধ্যবাড্ডায় ফলের ব্যবসা করতেন তিনি। ছুরিকাঘাতের দিনই মারুফের
বড়বোন পাপিয়া গোসাইরহাট থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। অভিযুক্ত রিফাত (২০) ওই
গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব
মারুফ ও রিফাত। ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে আসে মধ্যবাড্ডায় ব্যবসা করা মারুফ। গ্রামে ফেরার
পর রিফাতের দেখা হয় তার। এ সময় রিফাত মারুফের কাছে তার ২০০ টাকা ফেরত চান। জবাবে মারুফ
বলে আজকে নাই পরে দিয়ে দিমু। এ সময় রিফাত ধারের ২০০ টাকা ফেরত না দেওয়ার কারণ জানতে
চান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে রিফাত মারুফকে ভয়ভীতি দেখায়
ও ফোন করে নিজের লোকজনকে আসতে বলে।
মারুফ ভয়ে দৌড়ে নিজ বাড়িতে এসে ঘরে ঢুকে পড়ে। তখন রিফাত তাকে মারার জন্য ঘরে প্রবেশ করে একপর্যায়ে মারুফকে ছুরিকাঘাত করে। মারুফের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে রিফাত দৌড়ে পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেকে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফের মৃত্যু হয়।
মৃত মারুফের বড় বোন পাপিয়া আক্তার বলেন,
‘আমার ভাই মারুফের কাছে ২০০ টাকা পাইতো রিফাত। ঈদের পরদিন বিকালে মারুফ ঘুরতে বাড়ি
থেকে বের হয়। ওই সময় তার পথে আটকায় রিফাত। এ ২০০ টাকার জন্য আমার ভাইকে মরতে হলো।’
গোসাইরহাট থানার এসআই মফিজ বলেন, ‘ধারের
টাকা ফেরত না দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় রিফাত। ঢামেকে তিনদিন চিকিৎসার পর আজ
সকালে মারা যায় মারুফ। রিফাতকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢামেকের
মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হবে।’