বন্দরে জোড়া খুন: সাবেক কাউন্সিলরসহ গ্রেফতার ৪
যুগান্তর প্রতিবেদন, নারায়ণগঞ্জ ও বন্দর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বিএনপির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপে সংর্ঘষের ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুস হত্যা মামলায় সাবেক কাউন্সিলরসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, ভোরে গাজীপুর সদরের গাজীপুরা ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, তার দুই ছেলে জুনায়েদ ও ফারদিন, বাবু শিকদার ওরফে জুয়াড়ি বাবু।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, বন্দরে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।
গত ২১ জুন রাতে বন্দর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার ও ইজিবাইক স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য (বহিষ্কৃত) হান্নান সরকার এবং বিএনপির কিছু নামধারীদের মধ্যে কয়েক মাস ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
এদের মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী রনি ও জাফর, পারভেজ এবং অপর একটি পক্ষের নেতৃত্বে দিচ্ছিলেন বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী বাবু সিকদার, বাবু ওরফে জুয়াড়ি বাবু ও শ্যামল।
গত শনিবার বিকালে উভয়পক্ষ শাহী মসজিদ, বন্দর রেললাইন ও হাফেজীবাগ এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দেয়। রাতে বন্দর রেললাইন এলাকায় আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) সড়কের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এদিকে আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এ সময় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। টহলে ছিল সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। রাত সাড়ে ১১টার দিকে রনি ও জাফর গ্রুপের লোকজন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মেহেদী হাসানকে (৩৮) ধরে নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় একটি ক্লাবের সামনে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার। এ ঘটনায় বন্দর থানায় দুটি হত্যা মামলা করা হয়।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, দুটি হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
