সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিবস্ত্র করে মারধর, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) আতাউর রহমান মুকুলের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর ও পরিধেয় কাপড় ছিঁড়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সোমবার সকালে মুকুলের সহযোগী মোস্তাকুর রহমান বাদী হয়ে বন্দর থানায় ১৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে হামলার অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সোনারগাঁও থানা বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুর রহমান ওরফে ডন বজলুকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হয়ে মারধর, পরিধেয় কাপড় ছিঁড়ে ফেলে সম্মানহানি এবং দেড় লাখ টাকা দামের মোবাইল ফোন ও নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২ জুন মেসার্স দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ বন্দরের হরিপুরে অবস্থিত ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে একটি ঠিকাদারি কাজ পান। বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল সাব-কন্ট্রাক্টে কাজটি নেন। গত রোববার দুপুরে কার্যাদেশের বিপরীতে চুক্তিনামায় স্বাক্ষরের জন্য তিনি হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান। সেখানে তিনি বিএনপি নেতা বজলুর রহমান ও তার সহযোগীদের হামলার শিকার হন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি কাজটি পাওয়ার পর এজাহারনামীয় আসামিরা ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। আতাউর রহমান মুকুল সাব-কন্ট্রাক্টে কাজটি নেওয়ার পর রোববার দুপুরে হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গেলে সেখানেও তার কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে তার পরিধেয় পাজামা-পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে তার সম্মানহানি করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা তার সঙ্গে থাকা দেড় লাখ টাকা দামের আইফোন এবং নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
