মুরাদনগরে নিহতদের কবর খুঁড়তে আসেনি এলাকাবাসী

কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

গ্রাম পুলিশের সহয়তায় খোঁড়া হয় কবর— ছবি: যুগান্তর
ফলো করুন |
|
---|---|
কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে নিহতদের কবর খুঁড়তে এগিয়ে আসেনি এলাকাবাসী। শুক্রবার রাতে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা কবর খুঁড়েন। এ সময় পুলিশ সেনাবাহিনী এবং র্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কড়ইবাড়ী গ্রামে গণপিটুনিতে নিহত হন মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানা বেগম রুবী, তার ছেলে রাসেল এবং মেয়ে জোনাকি।
শুক্রবার রাতে সরেজমিনে কড়ইবাড়ী কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায়, ৩ গ্রাম পুলিশসহ চারজনে তিনটি কবর খোঁড়ার কাজ করছেন। রাত ৯টার দিকে লাশ এসে পৌঁছায়। ১০টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে জানাজা সম্পন্ন করা হয়। পরে সাড়ে ১০টার দিকে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত শেষ হলেও শুক্রবার দুপুর নাগাদ নিহতদের লাশ গ্রহণ করতে যায়নি কেউ। বিকেলের দিকে নিহত রুবির মেয়ে জামাই মনির হোসেন লাশ গ্রহণ করেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা রাতের মধ্যেই এজহার দেবে বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই সকাল ৯টায় মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকুবপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ী গ্রামে এলাকাবাসী হামলা করে চিহ্নিত মাদককারবারি রোকসানা বেগম রুবি ও তার ছেলে রাসেল ও মেয়ে জোনাকি আক্তারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় রুমা নামে রোকসানার আরও এক মেয়ে গুরুতর আহত হন।
নিহত রাসেলের স্ত্রী মীম আক্তার জানান, রুবির বাড়ির সামনে ৮০-৯০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে আসে। প্রথমে তারা বাড়িতে ইট ছোড়ে, পরে ঢুকে পড়ে। রুবিকে মারতে মারতে উঠানে ফেলে রাখে। পাশের ঘর থেকে মেয়েরা বের হলে তাদেরও পেটানো হয়।
এদিকে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি। এ সময় কড়ইবাড়ী গ্রামের অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। অধিকাংশ বাড়িঘরে তালা ঝুলছে এখন। গ্রামের রাস্তা ফাঁকা, পুরুষ সদস্যদের কাউকেই দেখা যাচ্ছে না।