জুলাই অভ্যুত্থানের ১১ মাস পর দাউদকান্দিতে আরেকটি হত্যা মামলা

কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৫, ০১:১৪ পিএম

ফাইল ছবি
ফলো করুন |
|
---|---|
জুলাই অভ্যুত্থানের ১১ মাস পর কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংশ্লিষ্ট আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে। এতে সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারে গুলিতে নিহত হন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সুলতান মিয়া (৪০)। তিনি তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রেহানা বেগম বাদী হয়ে গত ৩০ জুন দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েত চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, সাবেক মেয়র নাইম ইউসুফ সেইনসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন গত বছরের ৫ আগষ্ট দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারের মিছিলে অংশ নেন অটোরিকশা চালক সুলতান। ওই সময় এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দেয়।
একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে সুলতান মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। গত ৭ আগস্ট শাহবাগ থানা-পুলিশ লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী রেহানা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ওসি জুনায়েত চৌধুরী বলেন, ‘গত বছরের ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সুলতান নামে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩০ জুন মামলা হয়েছে। এর আগে রিফাত ও বাবু হত্যার ঘটনায় আরও তিনটি মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান।’